বাগেরহাটের মোংলায় পশুর নদীতে ৬০০ টন কয়লা নিয়ে এমভি নাওমী নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। তবে দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ জাহাজের আট নাবিক নিরাপদে তীরে উঠে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া-৪ নম্বর অ্যাংকোরেজ এলাকায় ডুবোচরে কার্গোর ধাক্কা লাগে। এতে তলা ফেটে কার্গোটি ডুবে যায়।
এ ঘটনায় ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ এমভি নাওমীর মাস্টার মো. আজিজুল হক শুক্রবার রাতে মোংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তবে পশুর চ্যানেলে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহাদাৎ হোসেন।
ডুবে যাওয়া জাহাজটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় মোংলা বন্দরের হাড়বাড়ীয়া ৫ নম্বর অ্যাংকোরেজে থাকা বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ‘সিএমভি জর্দান’ থেকে ৬০০ টন কয়লা বোঝাই করে এমভি নাওমী। নোঙর করার জন্য বিদেশি জাহাজ ছেড়ে হারবাড়িয়া-৪ নম্বর অ্যাংকোরেজ এলাকায় পৌঁছালে ডুবে যায় কার্গোটি।
দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের মাস্টার মো. আজিজুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়ীয়া ৫ নং বয়ায় অবস্থানরত বিদেশি জাহাজ ‘সিএমভি জর্দান’ থেকে বৃহস্পতিবার ‘এমভি নওমী’তে ৬০০ টন কয়লাবোঝাই করে ছেড়ে আসে। পরবর্তীতে রাত ১১টার দিকে বন্দরের ৪ নং বয়ার কাছাকাছি পৌঁছালে ডুবন্ত কিছুর সঙ্গে কার্গোর ধাক্কা লেগে তলা ফেটে ইঞ্জিন কক্ষে পানি ঢুকতে থাকে। এ সময় আমরা দ্রুত কার্গোটিকে পার্শ্ববর্তী চরে উঠিয়ে দেই। পরবর্তীতে অন্য লাইটার জাহাজের সহায়তায় দুই নিরাপত্তা কর্মীসহ আট নাবিক তীরে আসতে সক্ষম হই। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনার খবর জানাই এবং মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
আরও পড়ুন : বিশ্বের ১৯০ দেশ ও সংস্থা কয়লা ব্যবহার বন্ধে প্রতিশ্রুত
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহাদাৎ বলেন, জাহাজটি ডুবলেও বন্দর চ্যানেলে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে চ্যানেল থেকে জাহাজটি সরাতে বলা হয়েছে।