কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় মাঘের ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে নাকাল অবস্থা জনজীবনে। চরম বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রায়১০দিনই দেখা মেলেনি সূর্যের। বৃষ্টির মতো করে দিনে ও রাতে পড়ছে কুয়াশা। সকাল ১১টা পর্যস্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। সন্ধা যত ঘনিয়া আসছে শীতের তীব্রতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এককথাই হার কাঁপানো শীতে ফুলবাড়ীর জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে।গত ১০দিন থেকে রাতে গুড়িগুড়ি পড়ছে কুয়াশা। মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও কাহিল হয়ে পড়েছে হাঁড়-কাঁপানো শীতে। ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছে শিশু ও বয়স্করা। এ দিকে হাঁড়-কাঁপানো ঠান্ডায় খর-কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষজন।
বড়লই গ্রামের আশরাফুল, বাংলাবাজারের রানা মিয়া, ধরলা চর যতীন্দ্র নারায়ণ গ্রামের পরেশ চন্দ্র রায়, খলিশা কোটাল এর মন্টু মেম্বার, অনন্তপুরের আব্দুল লতিফ জানান, প্রচন্ড শীতের কারণে বোরো বীজতলা হলুদ বর্ণ হচ্ছে ও আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের অবস্থাও শীতে কাহিল।
উপজেল ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (পিআইও) সবুজ কুমার গুপ্ত জানান, এ পর্যন্ত সরকারিভাবে তিন হাজার ১১০ পিস কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদা চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।