শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে এনআরবিসি ব্যাংক

প্রকাশঃ

করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্রাহকের চাহিদা সক্ষমতার বিবেচনায় সর্বনি¤œ ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক গঠিত ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এই ঋণ বিতরণ করবে এনআরবিসি ব্যাংক। ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ঋণ বিতরণের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। আগারগাঁও পর্যটন ভবন মিলনায়তনে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা। স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানেরর পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমান ও এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেন, এই প্রণোদনা প্যাকেজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে কোভিড-১৯ এর ক্ষতি কাটিয়ে এসএমই খাত শক্তিশালী হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠানকে আরো বেশি অর্থ বরাদ্দ দেয়াসহ অধিক পরিসরে দায়িত্ব প্রদান করা প্রয়োজন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, প্রণোদনা প্যাকেজ সুষ্ঠুভাবে বিতরণ হলে সরকারের নির্বাচনী লক্ষ্য অনুযায়ী নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে ও কর্মসংস্থান বাড়বে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে দেশের লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার ক্ষতি কাটিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনীতি সচল করতেই সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, গত অর্থবছরে একমাত্র শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিক সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ শতভাগ বিতরণ করে সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের ২০০ কোটি টাকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই বিতরণ শেষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, সম্পাদিক চুক্তি অনুসারে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত যারা সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ পাননি, অগ্রাধিকারভূক্ত এসএমই সাব-সেক্টর এবং ক্লাস্টারের উদ্যোক্তা; নারী-উদ্যোক্তা; নতুন উদ্যোক্তা অর্থাৎ যারা এখনো ব্যাংক ঋণ পাননি; এবং পশ্চাদপদ ও উপজাতীয় অঞ্চল, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তাগণ সহজশর্তে এই ঋণ পাবেন।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ