বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে পরিস্থিতি বুঝে চালক ওভারটেক করলে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেছেন, ঢাকার সড়কে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনের গতিসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার ও মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। একজন চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালান। ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে চালক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
গতিসীমা লঙ্ঘন করলে মামলা দেওয়ার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেসব যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে, সেসব গাড়িকে কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে, সেই গাড়ি যদি গতিসীমা লঙ্ঘন করে ও দুর্ঘটনা ঘটায় সে ক্ষেত্রে আটকানো হবে।
তিনি বলেন, গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠালে–নামালেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কমিশনার বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালে ৪০০ গাড়ি পার্কের সুযোগ থাকলেও সেখানে প্রতিদিন ১ হাজার ৮০০ গাড়ি চলাচল করে। এতে গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে পার্ক করা হতো। মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর ও উত্তরা হয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যায়, সেগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে বনানী পর্যন্ত একটু একটু করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলায় মহাখালী এলাকায় যানজট সৃষ্টি হতো। তাই মহাখালী থেকে বনানীর আগে পর্যন্ত কোনো গাড়িই পার্কিং বা যাত্রী ওঠা–নামা করতে পারবে না। এই নিয়ম অমান্য করায় এরই মধ্যে ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
এই নিয়ম শতভাগ বাস্তবায়নে যাত্রী ও বাসের সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হবে, তবে কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
এর আগে ‘ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা–২০২৪’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। চেয়ারপারসন হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মুনিবুর রহমান।
প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক–অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইয়ামি ওকাযাকি।