ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট দেখা দেয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ইতমধ্যে কনটেইনার ডেলিভারির গতি কিছুটা কমে গেছে। সরকারি ছুটির কারণে আগামী কয়েকদিনে এ গতি আরও কমে যাবে।
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে বন্দরে যে কনটেইনারের চাপ সৃষ্টি হবে তা বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। অবশ্য বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সব প্রস্তুতিই নেয়া হয়েছে। সরকারি ছুটি থাকলেও কনটেইনার ডেলিভারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা কাজ করবেন। তবে আমদানিকারকদের এজেন্টরা ওই সময় ডেলিভারি নিতে আগ্রহী নয়। এ কারণে বন্দরে কনটেইনার জমে যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডগুলোর কনটেইনার ধারক্ষমতা ৪৯ হাজার টিইইউএস (টোয়েন্টি ফিট ইকুইভিলেন্ট ইউনিটস)। স্বাভাবিক অবস্থায় ইয়ার্ডে ৩০-৩৫ হাজার টিইইউএস কনটেইনার থাকে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, হরতাল-ধর্মঘট এবং ঈদের ছুটিতে এ সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ায় বন্দরে কনটেইনার জট দেখা দেয়। কনটেইনারের সংখ্যা ধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি গেলে কিংবা অতিক্রম করলে জাহাজ থেকে কনটেইনার নামিয়ে রাখার জায়গা থাকে না। আবার কনটেইনার নাড়াচাড়া করা কিংবা ট্রেইলারে তুলতেও অসুবিধা সৃষ্টি হয়। এতে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ৪ হাজার ৭৪০ টিইইউএস কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে। শনিবার তা কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৬১৬টিতে। অন্যবারের মতো এবারও মহাসড়কে ঈদের আগের এবং পরে মোট ৬ দিন খাদ্য ও রফতানি পণ্য বোঝাই গাড়ি ছাড়া পণ্যবাহী অন্য গাড়ি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ঈদের ছুটিতেও বন্দরের সব বিভাগে কাজ হয়। শুধু ঈদের দিন ৮ ঘণ্টা পণ্য ডেলিভারি বন্ধ থাকে। আমরা সব সময়ই ডেলিভারি দিতে প্রস্তুত থাকি। কিন্তু সমস্যা হল, ছুটিতে সিএন্ডএফ এজেন্টরা পণ্য নেন না। এ কারণে বন্দরের ওপর চাপ বেড়ে যায়। তবে এবার আমরা সিএন্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের ঈদের ছুটিতে এবং এর পরে পণ্য ডেলিভারি নিতে বলেছি। যাতে কনটেইনার জট সৃষ্টি না হয়।