চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্ট্রি করেছে। ১৯৭৭ সাল থেকে কনটেইনার হ্যান্ডলিং শুরুর পর ২০২১ সালে এসে সর্বোচ্চ সংখ্যক কনটেইনার হ্যান্ডলিয়ের রেকর্ড গড়েছে দেশের অর্থনীতির স্বর্ণদ্বারখ্যাত এই বন্দর। ইতিহাসে এর আগে একক কোন বছরে এত বিপুলসংখ্যক কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড নেই চট্টগ্রাম বন্দরের।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এর প্রভাব পড়ে চট্টগ্রাম বন্দরেও। কমে যায় আমদানি-রপ্তানি। ২০২০ সালে বন্দর হ্যান্ডলিংয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারায় বিশ্বের ১০০ ব্যস্ততম বন্দরের তালিকায় ৫৮তম স্থান থেকে ৯ ধাপ পিছিয়ে ৬৭তম স্থানে চলে যায় চট্টগ্রাম বন্দর।
গশ বছর বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১ লাখ টিইইউএস। বছর শেষে পরিসংখ্যানে দেখা যায় ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৮ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখনো করোনা থেকে বের হয়ে যাইনি। প্রতিদিন ১২টি করে জাহাজ এখানে খালাস হয়। এ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এগিয়ে যেতে পারি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়া যে লক্ষ্য ততবেশি আমাদের মানসিকতার মধ্যে গেঁথে যেতে হবে। এই যে বাংলাদেশ অর্থণীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার চালিকাশক্তি হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রামবাসীরা গর্ব করে বলতে পারে অগ্রসরমান বাংলাদেশের মূল গেটওয়ে হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর।
আরও পড়ুন : গেল মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার
বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, সারা বিশ্ব যেখানে স্থবির হয়ে গিয়েছিল, সারা বিশ্বে যেখানে পণ্য পরিবহণ বন্ধ ছিলো। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের অপারেশনাল কাজ সমুন্নত রেখেছিল। এবং আমাদের কখনই কনটেইনার ও জাহাজ জট হয়নি। আমাদের ইয়ার্ডেও কোনো সমস্যা ছিল না।
উন্নতির ধারা অব্যাহত ও প্রবৃদ্ধি আরো বাড়াতে সব সেবা সংস্থাকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে জানান ব্যবসায়ীরা।