দেশের হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ওমরাহ পালন করার জন্য সৌদি আরব যেতে সদা প্রস্তুত আছেন। কিন্তু টিকা নিয়ে জটিলতা থেকেই যাচ্ছে। নিয়মের বেড়াজালে আটকা পড়ে যেন ওমরাহ পালনের পথ বন্ধ না হয় সে লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে বলে জানিয়েছেন, ধর্মসচিব নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সৌদি সরকার সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের দুই ডোজ টিকাগ্রহীতাদের ওমরাহ পালনের অনুমোদন দিলেও বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তুু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রয়োগ করলে সমস্যা থেকেই যাবে।
নুরুল ইসলাম বলেন, সৌদি আরবের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো চিঠি না পেলেও সেখানে দায়িত্বরত বাংলাদেশের কাউন্সিলরের (হজ) মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সৌদি আরব সিনোফার্ম বা সিনোভ্যাকের টিকার অনুমোদন দিলেও দুই ডোজের অতিরিক্ত বুস্টার ডোজ (দেশটিতে অনুমোদিত টিকাগুলোর যে কোনো একটি) গ্রহণকারীদের সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি দেবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশ এখনো বুস্টার ডোজ শুরু করেনি, চিন্তা-ভাবনা করছে। সেক্ষেত্রে এ নিয়ম অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ ওমরাহ পালন করতে যেতে পারবে না। আগে সৌদি আরবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার-বায়োএনটেক, জনসন অ্যান্ড জনসন ও মডার্নার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন ছিল। এখন সিনোফার্ম বা সিনোভ্যাকের টিকার অনুমোদন দিয়েছে। তবে সৌদি সরকার বুস্টার ডোজের কথা উল্লেখ করেছে।
ধর্মসচিব বলেন, সিনোফার্মের দুই ডোজ টিকা নিয়ে যাতে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ওমরাহ পালনে সৌদি আরব যেতে পারেন সে বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় ছাড়াও কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। সৌদি সরকার এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের কথা ভেবে দুই ডোজ সিনোফার্মের টিকাগ্রহীতাদের অনুমতি দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।