সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

চা দিবস পালিত হয় কবে কোন দেশে

প্রকাশঃ

চা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত পানীয়। কিছু মানুষের কাছে চা তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ২০১৯ সালের ২১ মে, জাতিসংঘ এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর, নয়াদিল্লিতে প্রথম আন্তজার্তিক চা দিবস পালিত হয়।

চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে সকাল শুরু করতে না পারলে অনেকের দিনটাই নাকি মাটি হয়ে যায়। আবার নাস্তার পর কিংবা কাজের ফাঁকে নিজেকে চাঙ্গা রাখতে এক কাপ চায়ের জুড়ি মেলা ভার। সেই সঙ্গে সন্ধ্যায় বন্ধুদের আড্ডায় চায়ের কাপে ঝড় তোলেন ক্যাম্পাসের মামার টং দোকানে। পুরো দিনটাই যাদের চাময় তারা নিশ্চয় জানেন আজ আন্তর্জাতিক চা দিবস।

বাংলাদেশ সহ ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালাউই, মালয়েশিয়া, উগান্ডা এবং তানজানিয়ার মতো দেশগুলোতেও আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে আসছে। তবে আমাদের কিন্তু জাতীয় চা দিবসও রয়েছে। যেটি পালন করা হয় ৪ জুন। এ বছর অর্থাৎ ২০২১ সাল থেকে এই দিবস পালন শুরু হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চা শিল্পের পুনর্বাসনে অসামান্য অবদান রাখেন তিনি।

এর প্রেক্ষিতে ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালনের উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। শুধু তাই নয় দেশের অর্থকারী ফসলের মধ্যে চা অন্যতম। ২০২০ সালে ১৯টি দেশে চা রপ্তানি করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আয় করেছে দেশ।

সারাদিন নানান স্বাদের চায়ে তৃষ্ণা মেটান চা প্রেমীরা। দুধ, চিনি দিয়ে চা খাওয়ার চল বেশিদিন না হলেও চায়ের ইতিহাস কিন্তু ৫ হাজার বছরের। এর আগে ১৭ শতাব্দীতে চীনে চা ব্যবহার হতো ওষুধ হিসেবে। চীনা সম্রাট শেন নুং প্রথম এই পানীয়টির স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন। একবার যুদ্ধের ময়দানে তিনি এবং তার সৈন্যরা একটি গাছের নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেসময় আশপাশে অনেক চা গাছ ছিল। সৈন্যরা যখন পানি ফুটাচ্ছিল তখন কয়েকটি চা পাতা পড়ে যায় পানির মধ্যে। কিছুক্ষণ পর পানির রং বদলে সুঘ্রাণ বেড়িয়ে আসে। সেখান থেকে তৈরি হয় চা এবং এরপরই চা সর্বাধিক ব্যবহৃত পানীয়তে পরিণত হয়েছে।

খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩৭ সালে চীনে প্রথম আবিষ্কৃত চা এশিয়ার সংস্কৃতির একটি প্রধান হয়ে ওঠে। যেখানে এটি একটি পানীয় এবং রোগ নিরাময়ের ওষুধে পরিণত হওয়ার আগে ধর্মীয় আচারের একটি প্রতীক ছিল। চীনের চা উৎপাদনের একচেটিয়া আধিপত্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতেই ব্রিটিশরা প্রথম ১৮২৪ সালে ভারতে বাণিজ্যিকভাবে চা ফসল চালু করে। এরপর থেকে এটি দার্জিলিং, নীলগিরি এবং আসামজুড়ে প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ