চুলের যত্নে অনেকেই অনেক কিছু করেন। ঘন কালো, ঢেউ খেলানো মখমল চুলের অধিকারী হতে কে না চায়? তবে ত্বকের তুলনায় চুলের যত্ন নেওয়াটা কঠিন। সারাদিন অফিস বা অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় চুলের যত্ন অনেকসময় নেওয়া হয় না। ফলে চুলের নানান সমস্যা দেখা দেওয়া কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।
শোয়ার আগে ত্বক বা চুলের য্তন নেওয়া আবশ্যিক। বাউন্সি বা সিল্কি বা চকচকে, কোঁকড়ানো- যে কোনও ধরনের চুলের জন্য সবচেয়ে সেরা সময় হল রাতের বেলা। ঘুমের আগে যে যে জরুরি টিপস নেওয়া দরকার, তা জেনে নিন।
তেল বা সিরাম ব্যবহার করুন
চুলের যত্নের অপরিহার্য অংশগুলির মধ্যে একটি হল চুলের জটগুলিতে তেল প্রয়োগ করা। তেল আসলে একটি ময়শ্চারাইজিং এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। চুলকে নরম এবং চকচকে রাখতেও সাহায্য করে। আপনার পছন্দের যে কোনও তেল লাগাতে পারেন এবং কয়েক মিনিটের জন্য আপনার মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন। তারপর চুল বেঁধে নিয়ে ভাল ঘুম দিন। রাতে চুলে তেল দিলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। চকচকে এবং নরম চুল পেতে আপনি পরের দিন সকালে আপনার চুল শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। আপনি যদি আপনার মাথার ত্বকে তেল দিতে পছন্দ না করেন তবে আপনি একটি সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।
সম্ভব হলে চুলে কাপড় বেঁধে রাখুন
চুলকে রক্ষা করতে বিছানায় বা বালিশে মাথা রাখার আগে মাথায় ভাল করে সুতির কাপড় বেঁধে নিতে পারেন। তাতে চুল পড়া ও গোড়া আলগা হয়ে যায় না। চুলে বিনুনি বা বেঁধে কাপড় দিলে সবচেয়ে ভাল হয়।
নোংরা চুল নিয়ে কখনও শোবেন না
যদি নিয়িমত চুল ধোওয়া এড়িয়ে চলেন তাহলে মাথার ত্বকের ছিদ্রগুলি ধীরে ধীরে বুজে যেতে পারে। মাথার ত্বককে দুর্বল করে দেয়। এছাড়া খুশকি, চুল পড়ার মতো সমস্যাগুলিও দেখা যায়। তাই প্রতি রাতে চুল ধুয়ে তবেই শুতে যাবেন।
স্যাঁতসেঁতে বা ভেজা চুলে ঘুমানো এড়িয়ে চলুন
স্যাঁতসেঁতে বা ভেজা চুল নিয়ে কখনও শুতে যাবেন না। এর কারণে চুলে তাড়াতাড়ি ফাটল ধরা পড়ে। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে চুল শুকিয়ে নিতে পারেন।
ঘুমানোর আগে চুল ভাল করে আঁচড়ে নিন
ঘুমানোর আগে চুল আঁচড়ে সুন্দর করে বেঁধে নিন। এই কাজটি চুলকে সুস্থ ও যেকোনও সমস্যা থেকে রক্ষা করে। চুল আঁচড়ালে চুলের জট খুলে যায়, পরিস্কার হয়ে যায় ও মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধিও ঘটায়।