বাংলাদেশ থেকে বর্হিবিশ্বে জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এ অঞ্চল থেকে জনশক্তি রফতানির শীর্ষে রয়েছে ভারত।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ‘স্কিলড লেবার মোবিলিটি অ্যান্ড মাইগ্রেশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে ২৪ শতাংশ ভারতীয়, ১৭ শতাংশ বাংলাদেশি, ১৪ শতাংশ চীনা, ১০ শতাংশ পাকিস্তানি এবং পাঁচ শতাংশ ফিলিপাইনের নাগরিক।
এতে আরও বলা হয়, এশিয়ায় জনশক্তি রফতানিকারক দেশগুলোর শীর্ষ স্থানে থাকা ভারতের এক কোটি ৭১ লাখ শ্রমিক বিদেশে কর্মরত। বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত। বাংলাদেশের পরই রয়েছে চীনের অবস্থান।দেশটির প্রায় ৮৯ লাখ শ্রমিক বিদেশে কাজ করছে।
এ ছাড়া পাকিস্তানের ৬০ লাখ, ফিলিপাইনের প্রায় ৪০ লাখ, ভিয়েতনামের ৩০ লাখ, ইন্দোনেশিয়ার ২২ লাখ এবং নেপালের ১৩ লাখ শ্রমিক বিদেশে কাজ করছে।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ শ্রমিক উপসাগরীয় দেশগুলোতে কাজ করে। এর মধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইনে বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করে। এছাড়া মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫ জন কর্মী বিদেশ যান। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১ জন কর্মী কাজ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যান। আগের বছর এটি ছিল ১০ লাখ আট হাজার ৫২৫ জন।
২০১৮ সালে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির প্রায় ৬৩ শতাংশ হয়েছে উপসাগরীয় এবং অন্যসব আরব দেশে। বাকি ৩৭ শতাংশের বেশির ভাগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কর্মী গেছেন সৌদি আরবে। এরপর মালয়েশিয়া, কাতার, ওমান ও সিঙ্গাপুরে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান যুগান্তরকে বলেন, দক্ষ জনশক্তি রফতানিতে জোর দেয়া হচ্ছে। প্রতি উপজেলায় দক্ষ জনশক্তি তৈরির উদ্যোগ চলছে।