জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা মোবাইল ফোনে প্রথম ডোজ টিকার জন্য এসএমএসের প্রয়োজন হবে না। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শেষ হবে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে কোভিড-১৯ টিকা বিষয়ক বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও অধিদফতরের মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
বুলেটিনে ডা. শামসুল হক বলেন, ‘দেশে এ পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ কোটি ১১ লাখ, আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে সাত কোটির মতো।’
তিনি বলেন, ‘যদি ১২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া যায়, তাহলে ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে। সে উদ্দেশ্য নিয়ে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম চালু থাকবে।’
ডা. শামসুল হক বলেন, ‘২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজের শেষ দিন। সেদিনের জন্য একটি মেগা ক্যাম্পেইন নেওয়া হয়েছে, একদিনে এক কোটি টিকা দেওয়ার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৬ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম আরও জোরদার করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সিভিল সার্জন অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সবাইকে। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মীদেরও সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং তারা কাজ করছেন।’
‘বিপুল সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনেক টিম ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজ করবে। যেন সেদিন সবার কাছে টিকা পৌঁছাতে পারি’, বলেন ডা. শামসুল হক।
তিনি জানান, সেদিন টার্গেট পূরণের জন্য কোনও রেজিস্ট্রেশন এবং জন্মনিবন্ধন কিছুই প্রয়োজন হবে না। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশের সব হাসপাতাল এবং টিকাকেন্দ্রগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে— এখন থেকে প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার জন্য যদি কেউ আসেন, তার যদি রেজিস্ট্রেশন না থাকে, নিবন্ধন না থাকে, শুধু লাইন লিস্টিং করে, কেবল মোবাইল নম্বর দিয়ে তিনি টিকা নিতে পারবেন।
মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেওয়া হবে। তাদের একটি করে কার্ড দেওয়া হবে, সেটিই হবে তার টিকা নেওয়ার প্রমাণ। এসব কিছুর প্রস্তুতি এবং নির্দেশনা ইতোমধ্যে দেশের সব সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে গেছে।
‘প্রথম ডোজের এই কার্যক্রম ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একটানা চালু রেখে জনগণের কাছে টিকা পৌঁছে দিতে চাই’, বলেন ডা. শামসুল হক।