আজ ৯ আগস্ট জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস। বর্তমানে জ্বালানি তেলের মজুদ ক্ষমতা ১৩.২৮ লাখ মেট্রিক টন, যা দিয়ে ৪০-৪৫ দিন দেশের জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটানো সম্ভব। মজুদ ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে ৬০ দিনে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয়সহ দ্রুত সময়ে গভীর সমুদ্রে মাদার ভেসেল থেকে মুরিং-এর মাধ্যমে প্রধান স্থাপনা ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে জ্বালানি তেল আনলোডিংয়ের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
দেশের জ্বালানি তেলের পরিশোধন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইআরএল (ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড) ইউনিট-২ স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। জ্বালানি তেল পরিবহনে ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন এবং বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ দেশবাসীকে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবার জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসটি উপলক্ষে ভার্চুয়াল সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
গতকাল এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এবং জ্বালানি ব্যবহারে জনগণকে সাশ্রয়ী ও সচেতন করে তুলতে প্রতি বছরের মতো এবারো জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ কর্তৃক ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানি করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে এবং স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাশাপাশি, দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জ্বালানি চাহিদা পূরণে গ্যাস উত্তোলন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ কয়লার মজুদ নির্ধারণ, আহরিত জ্বালানিসম্পদ ব্যবহারের নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে বিশাল সমুদ্র এলাকায় ব্যাপকভিত্তিক গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান এবং উৎপাদন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।’