বাংলাদেশের টাকা জাল হওয়া নতুন কিছু নয়। তাই টাকা লেনদেনের সময় ভালোভাবে দেখে নেয়া সকলেরই দ্বায়িত্ব। এর পরও কারও কাছে জাল নোট পেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। কিন্তু ব্যাংকে লেনদেনের সময় কোনো গ্রাহক জাল নোট প্রদান করলে কর্মকর্তারা তা ছিদ্র করে আবার ফেরত দেয়, যা বিধিসম্মত নয়।
কোনো ব্যক্তি যদি কারও কাছ থেকে জাল নোট পান তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ওই নোটসহ পুলিশে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জাল নোটের ওপর বড় করে ‘লাল রং দিয়ে জাল নোট’ শব্দটি লিখতে হবে। নোটের অপর পৃষ্ঠায় প্রদানকারীর নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, তারিখসহ পূর্ণ স্বাক্ষর এবং লিখিত স্বীকৃতিনামা নিতে হবে।
কিন্তু জাল নোট প্রদানকারী যদি নিজেই প্রতারিত বলে মনে করেন অথবা ব্যক্তির অজান্তে এটি পকেটে চলে আসে, তাহলে ওই নোটটি নিজেকেই ধ্বংস করে ফেলতে হবে। ব্যক্তি মনে করলে ওই নোটটি থানায় দিতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যক্তির অজান্তে এই জাল নোট তার কাছে এসেছে এর স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে।
জাল নোট প্রদানকারী হিসেবে কারও সন্দেহ হলে সেই নাম বলতে হবে, তবে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি যে তাকে ওই নোটটি দিয়েছেন তার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে।
এই আইনি প্রক্রিয়ায় গেলেও ব্যক্তি জাল নোটের বদলে আসল অর্থ ফেরত পাবেন না। তাই অজান্তে কোনোভাবে একবার জাল নোট কেউ পেলে এটাকে নিজের ক্ষতি মনে করে ধ্বংস করে দিতে হবে।