জুলাইয়ে ৩৯৮ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে জুলাইয়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৪৭ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯২ কোটি ডলার।
জ্বালানি তেলের সংকট, ইউরোপের যুদ্ধসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বেশিরভাগ পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। তবে জুনের তুলনায় জুলাইয়ে রপ্তানি প্রায় ১০০ কোটি ডলার কমে গেছে। গত জুনে বাংলাদেশ ৪৯১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ইপিবি হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করে।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জুলাইয়ে প্লাস্টিকের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪৪ দশমিক ৩২ শতাংশ, ম্যানুফ্যাকচার্ড কমডিটিজের পণ্য ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, চামড়াজাত পণ্য ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, তৈরি পোশাকে ১৬ দশমিক ১৬ শতাংশ, পাটজাতপণ্যে ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
নিট ও ওভেন মিলিয়ে ৩৩৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে জুলাইয়ে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুলাইয়ে ২৮৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করা হয়েছিল।
অন্যদিকে কৃষি, হস্তশিল্প ও কেমিক্যাল পণ্য রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরেছে সরকার।