টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখুন মটরশুঁটি। কারণ মটরশুঁটি হছ্ছে ভিটামিন সি, আয়রন, জিংক, ভিটামিন ই, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম ও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস। শীতের এই সবজিটি খেলে বিভিন্ন ধরণের রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। মটরশুঁটি ডিপ ফ্রিজে রেখেও সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন বছরজুড়ে। চলুর জেনে নিন মটরশুঁটির বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে।
মটরশুঁটি খেলে যেসব রোগ থেকে দূরে থাকা যায়:
> মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফলে নিয়মিত মটরশুঁটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের গণ্ডগোল থেকে দূরে থাকা যায়।
> মটরশুটিতে খুবই সামান্য পরিমাণে ফ্যাট ও ক্যালরি থাকে। ফলে ফ্যাট কম থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
> গবেষণা মতে, নিয়মিত মটরশুঁটি খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
> অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকতে সাহায্য করে মটরশুঁটিতে থাকা ফাইবার। ফলে বাড়তি মেদ জমে না শরীরে।
> মটরশুঁটিতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্ট ভালো সুস্থ সবল রাখতে সহায়তা করে।
> রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হয় মটরশুঁটি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রয়েছে মটরশুঁটির।
> মটরশুঁটিতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
> ক্যারোটিনয়েড পিগমেন্ট লুটেইন নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে মটরশুঁটিতে। এটি বৃদ্ধ বয়সে চোখের দৃষ্টি কমে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
> চমৎকার আয়রনের উৎস মটরশুঁটি। এটি খেলে তাই রক্তশূন্যতা থেকে দূরে থাকা যায়।
> শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এতে থাকা ভিটামিন সি।
এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২ মিলিগ্রাম পলিফেলনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এক কাপ মটরশুটিতে অন্তত ১০ মিলিগ্রাম পলিফেলন থাকায় এটি পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।