কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল উদ্বোধন ঘিরে চট্টগ্রামে সাজ সাজ রব। আগামী শনিবার (২৮ অক্টোবর) উদ্বোধনের সব প্রস্ততি শেষ। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এই টানেলে দুই ও তিন চাকার যান চলাচল এবং পায়ে হেঁটে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এবং আনোয়ারা দুই প্রান্তেই সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। রং তুলির আচড় আর আলোকছটায় পাল্টে গেছে পুরো এলাকার দৃশ্যপট। দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে টানেল এই প্রথম, ফলে সাধারণ মানুষের আগ্রহ এবং উৎসাহ উদ্দীপনারও শেষ নেই। উদ্বোধনের আগেই দুই প্রান্তে ভিড় করছেন অনেকে।
শনিবার উদ্বোধনের পরদিন অর্থাৎ রোববার সকাল ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য টানেলটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। তবে দুই এবং তিন চাকার গাড়ি অর্থাৎ অটোরিকশা, মোটর সাইকেল নিষিদ্ধ। পায়ে হেঁটেও যাওয়া যাবে না এই টানেল দিয়ে।
এ নিয়ে প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, মোটরসাইকেল বা পায়ে হেঁটে এই টানেল দিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে জোরালো। কারণ এটি পানির নিচের একটি প্রকল্প। বিষয়টি জনগণকে অনুধাবন করতে হবে।
আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা বিস্ফোরক দ্রব্য বহন বন্ধে টানেলের উভয় প্রান্তে বসেছে একাধিক স্ক্যানার। দুর্ঘটনা কিংবা বৈদ্যুতিক সমস্যা সম্পর্কিত নিরাপত্তা মহড়া হয়েছে একাধিকবার। প্রকল্প পরিচালক জানান, বিস্ফোরক দ্রব্য আছে এমন সন্দেহ হলে সাথে সাথে সেই গাড়িটিকে তল্লাশি করা হবে। তাছাড়া লোডশেডিং যদি হয়, তাহলে জেনারেটর চালু করতে যে সময়টুকু লাগবে, সেই সময়ের মধ্যে ইউপিএস থাকবে। ফলে কোনোভাবে অন্ধকার হওয়ার সুযোগ নেই।
মূলত সাংহাইয়ের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ আদলে প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই টানেল। এর দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার।