রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি ডলারে পাওয়া যাবে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ প্রবাসী আয়ে মিলবে ১১১ টাকা। আর রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৭ টাকা। এতদিন রেমিট্যান্সের ডলারের দাম ছিল ১০৮ টাকা ও রপ্তানি আয়ে ছিল ১০৬ টাকা।
বুধবার (৩১ মে) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন এ সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে কার্যকর করা হবে।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
বৈঠক প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম বলেন, এবিবি ও বাফেদার যৌথ সভায় সব ব্যাংকের এমডিরা উপস্থিত ছিলেন। ডলারের ডিমান্ড-সাপ্লাই পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেই। সেই আলোকে আজকের সভায় রেমিট্যান্সের ডলার রেট ৫০ পয়সা ও রপ্তানি আয়ে ১ টাকা দাম বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে প্রতি ডলার রেমিট্যান্সের বিপরীতে ব্যাংক রেট ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা আর রপ্তানি আয়ের প্রতি ডলারে মিলবে ১০৭ টাকা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি, প্রবাসী আয় ও আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।