বিশেষ নীতিমালার আওতায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল বা এককালীন পরিশোধ (ওয়ান টাইম এক্সিট) সুবিধার সময় ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পেলেন ব্যাংকের গ্রাহকরা।
সোমবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে।
নতুন এ নির্দেশনা মতে, এককালীন এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ ও বিনিয়োগের বিপরীতে প্রদেয় অর্থ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হলে এককালীন এক্সিট সুবিধা বহাল থাকবে। এ সুবিধা এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রলম্বিত হওয়ায় এককালীন এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ গ্রহীতার অর্থনৈতিক ক্ষতি বিবেচনায় নিয়ে তাদের ঋণ পরিশোধ সহজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদহার নির্ধারণ, চাপে ব্যাংকগুলো
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এক্সিট সুবিধা নিয়েছেন চার হাজার ২২৫ জন গ্রাহক। এসব গ্রাহককে এক হাজার ৩২২ কোটি টাকার এক্সিট সুবিধা দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক, যার মধ্যে সুদ মওকুফ করা হয়েছে এক হাজার ৬১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক্সিটের চেয়ে ২৯৫ কোটি টাকার বেশি সুদ মওকুফ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র বলছে, বিশেষ ওই নীতিমালার আওতায় এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকার নিয়মিত খেলাপি ঋণ। ব্যাংকগুলো সুদ মওকুফ করেছে ৮ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা আর নগদ আদায় হয়েছে ৩৩৬ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন : ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূলধন পর্যাপ্ততা নীতি
নীতিমালার আওতায় ১৭ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকার পুনঃতফসিলের জন্য সুদ মওকুফ করা হয়েছে ৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। ডাউনপেমেন্ট হিসেবে নগদ আদায় হয়েছে ৪২০ কোটি টাকা। আর এক হাজার ৩২২ কোটি টাকার এক্সিট সুবিধার জন্য সুদ মওকুফ করা হয়েছে এক হাজার ৬১৭ কোটি টাকা। যার বিপরীতে নগদে আদায় হয়েছে মাত্র ১১৫ কোটি টাকা।