ঢেঁড়স খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। অথচ শরীরের যত্নে ঢেঁড়সের ভূমিকা অনেক। খেতে তেমন সুস্বাদু না হলেও ঠিকমতো রান্না করতে পারলে ঢেঁড়স অত্যন্ত সুস্বাদু এবং উপাদেয় খাবার।
গাজর, সিম, পালংশাক, কুমড়া, বিটের মতো ঢেঁড়সও অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারী একটি সবজি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এ, সি, ফলেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং বিটা ক্যারোটিন। ডায়াবেটিস, অ্যাস্থমা, অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর করে ঢেঁড়স।
শরীরের যত্নে ঢেঁড়শের ভূমিকা:
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়
ঢেঁড়সে থাকা ফাইবার পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে থাকেন তাদের জন্য ঢেঁড়স অত্যন্ত উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য ছাড়াও বদহজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়ার অভ্যাস কোলন ক্যানসারের প্রবণতা কমায়।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে দারুণ সাহায্য করে ঢেঁড়স। এই গরমে আপনার খাদ্যতালিকায় ঢেঁড়স রাখতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চোখের দৃষ্টি পরিষ্কার রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। পরিপাক ক্রিয়ার ভালো মন্দের ওপর শরীরের ওজন নির্ভর করে। পরিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বক ভালো রাখে
ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ত্বকের সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকরী ভিটামিন সি। ব্রণের সমস্যা কমায়, ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগছোপ কমায়, ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। আর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ঢেঁড়স শরীরের পাশাপাশি যত্ন নেয় ত্বকেরও।
অতিরিক্ত শ্বেতস্রাব কমায়
শ্বেতস্রাবের সমস্যায় অল্পবিস্তর সব নারীরাই ভোগেন। মানসিক অশান্তি, গর্ভনিরোধক ওষুধগ্রহণ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ইত্যাদি কারণে শ্বেতস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঢেঁড়সে শ্বেতস্রাবের সমস্যা কম করতে পারে। এক লিটার পানির মধ্যে ২০০ গ্রাম ঢেঁড়স সেদ্ধ করুন। পানি ঘন হয়ে অর্ধেক হয়ে আসলে সেই পানি পান করতে পারেন। সপ্তাহে দু’থেকে তিন বার এই পানি খান। তবে শ্বেতস্রাবের সমস্যা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।