তিন মাসের মধ্যে দেশের সব বীমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আসতে হবে। কোনো কোম্পানি যদি না আসে তাহলে তার লাইসেন্স স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, যদি তারা তিন মাসের মধ্যে না আসে তাহলে তাদের প্রাথমিকভাবে লাইসেন্স স্থগিত করা হবে। প্রয়োজনে কিছুদিন সময় বাড়তে পারে। এরপরেও যদি না আসে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৭৮টি লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং নন লাইফ ইন্স্যুরেন্স আছে। এর মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে ৪৭টি। বাকি ৩১টি শেয়ারবাজারের বাইরে রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বীমা খাতের উদ্যোক্তারা দেশের সব ফ্ল্যাট এবং আবাসিক ও অনাবাসিক ভবন বীমার আওতায় আনার যে দাবি জানিয়েছেন, সেটিও ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, বীমার প্রিমিয়াম আদায়কারী মাঠকর্মীকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন দেওয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা এ সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রাহকের কাছ থেকে প্রিমিয়াম নেওয়ার সময় বাড়তি অর্থ আদায় করা যাবে না। যদি কেউ বাড়তি আদায় করেন তা হলে তাদের লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল হতে পারে।
বৈঠকে বীমা নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং বাংলাদেশ বীমা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেনসহ বীমা কোম্পানিগুলোর এমডি ও চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।