কুড়িগ্রামে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে তীব্র শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার চাদর ভেদ কর দেরিতে সূর্যের দেখা মিললেও তীব্র ঠান্ডার কারণে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে শিশু ও বয়স্কদের বিভিন্ন শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালেও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বন্যায় বসতবাড়ীহারা কয়েক হাজার মানুষ রয়েছেন নিদারুণ শীত কষ্টে। অসহায় জীবন যাপন করছেন খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী মানুষজন। শীত বস্ত্রের অভাবে ভোগান্তিতে রয়েছেন জেলার সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ।
চলমান শৈত্যপ্রবাহে শ্রমজীবী মানুষদের দুর্দশা বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তারা। একটু উষ্ণতা পাওয়ার আশায় গ্রামাঞ্চলের শীতবস্ত্রহীন মানুষজন তাকিয়ে থাকছেন সূর্যের আলোর দিকে। ঠান্ডার তীব্রতার কারণে হাট-বাজারে লোকের সমাগম অনেকটাই কম দেখা যাচ্ছে।
শীতের প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে জেলার সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ এখন সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা এখনও খুব বেশি না। তবে শীতজনিত রোগীদের জন্য উপজেলা মেডিকেল টিম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অনান্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, রবিবার (২০ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে আজও তা চলমান রয়েছে। এই মাসে আরও একটি শৈত্য প্রবাহ হতে পারে। এই শীত ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চে গিয়ে শেষ হতে পারে।