দই খাওয়ার উপকারিতা অনেক। শীতকালে উৎসব, নিমন্ত্রণে খাওয়াদাওয়া লেগেই থাকে। এ সময় খাওয়াদাওয়ার অনিয়মের কারণে অনেকের নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ— সকলেই সুস্থ থাকতে যে খাবারগুলি খাওয়ার কথা বলে থাকেন, তার মধ্যে অন্যতম টক দই। এ সময় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় টক দই রাখা অত্যন্ত জরুরি।
টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান লিভার সুস্থ রাখে। টক দই খেলে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে । অনেকেই দুধ খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন দইয়ের উপর। দুধের তুলনায় দই অনেক বেশি সহজপাচ্য। তেল-মসলাদার খাবার খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু টক দইয়ের ‘ফারমেন্টেড এনজাইম’খাবার হজমের জন্য কার্যকর। বদহজম দূর করতেও সমান ভাবে কার্যকর এই দই। ভাল কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়াতে দইয়ের ভূমিকা অপরিসীম। মূত্রাশয়ের সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতেও দইয়ের ভূমিকা যথেষ্ট। সব মিলিয়ে শরীর ভাল রাখতে দই নিঃসন্দেহে উপকারী। কিন্তু খাবার খাওয়ার আগে না কি পরে— কখন দই খেলে বেশি উপকার মিলবে তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। অনেকেই দুপুরে খাওয়ার পর টক দই খান। পুষ্টিবিদরা বলছেন, দিনের বেলা দই খাওয়াই সবচেয়ে ভাল। খাওয়ার পরেই খেতে পারেন দই। তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি দিনের দু’টি খাবারের মাঝে দই খাওয়া যায়।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, রাতে দই না খাওয়াই ভাল। এর কারণ দইয়ে থাকে ‘হিস্টামাইন’নামক উপাদান। এই পদার্থটি মিউকাসের জন্ম দেয়। তাই রাতে দই খেলে সর্দিকাশির সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দই খাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। দইয়ে এমনিতেই অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে দইয়ের সঙ্গে টকজাতীয় কোনও ফল খাওয়া ঠিক নয়। লেবু বা সাইট্রাসজাতীয় ফলের সঙ্গে ভুলেও টক দই খাবেন না। টক ফলের সঙ্গে তো বটেই, কোনও ফলের সঙ্গেই দই না খাওয়াই ভাল।