দেশের পুঁজিবাজারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরও দরপতন যেন থামছেই না। চলতি জুলাই মাসের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ দিনই সূচকের পতন হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ সাত কর্মদিবসে টানা দরপতন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ধস নামার পর মাঝে কিছুদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কখনও স্বস্তিতে ছিলেন না বিনিয়োগকারীরা। অর্থমন্ত্রীর বাজেটে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। ওই ঘোষণায় অনেক বিনিয়োগকারী আশ্বস্ত ছিলেন। কিন্তু বাজেট ঘোষণার পর হতাশ হয়েছেন তারা। ফলে ফের দরপতন শুরু হয়েছে। বাজেট পাসের পর দরপতনের মাত্রা বেড়েছে।
আজ সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৫২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে ৩৭টির ও কমে ৩০৩টির। আর অপরিবর্তিত থাকে ১২টি কোম্পানির লেনদেন।
বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনের প্রভাবে এদিন ডিএসইর সবগুলো সূচকেই পতন ঘটে। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে ও ডিএসই-৩০ সূচক ৩৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮১৮ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এদিন ডিএসইতে প্রায় ৩০৬ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা কম।
এদিকে ডিএসইর মতো সোমবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এই স্টক এক্সচেঞ্জে এদিন ২৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৪৩টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ২১৪টির। আর আগের দিনের দরে অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।