বুধবার, ৬ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

দেশের এভিয়েশন ইতিহাসে প্রথম বিশ্বমানের ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশন চালু করলো বিমান

প্রকাশঃ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কে স্মার্ট এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ হিসেবে জার্মানির লুফথানাসা সিস্টেমের বিশ্বখ্যাত ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশন ‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ চালু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আজ ২৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় জার্মান প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সফটওয়্যারটির উদ্বোধন করেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব শফিউল আজিম। উক্ত অনুষ্ঠানে লুফথানাসা সিস্টেমের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিইও জনাব টম ভ্যানড্যানডিল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ সফটওয়্যারটির একটি সম্পূর্ণ ডিসপ্যাচ ব্যবস্থা, এর মাধ্যমে নিখুঁত এবং সাশ্রয়ীভাবে ফ্লাইট প্ল্যানিং করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ফ্লাইট প্ল্যান করা এবং যেসমস্ত দেশের উপর দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে সেসকল দেশের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ইউনিটকে অবহিত করা ব্যাধ্যতামূলক। ফ্লাইট প্ল্যান করার ক্ষেত্রে অন্যতম বিবেচ্য বিষয়গুলো হচ্ছে গন্তব্যের দূরত্ব, উড়োজাহাজের গতিবেগ, আবহাওয়ার অবস্থা, গন্তব্যের আবহাওয়ার অবনতি বা জরুরি অবস্থায় সম্ভাব্য বিকল্প গন্তব্য নির্ধারণ, জ্বালানি তেলের পরিমাণ নির্ধারণ ইত্যাদি। এছাড়াও কোন্ পথে এবং কোন্ উচ্চতায় ফ্লাই করলে সবচেয়ে কম জ্বালানি খরচ হবে; কোন্ দেশের উপর দিয়ে ফ্লাই করলে ওভার ফ্লাই চার্জ কম লাগবে; যে এয়ারপোর্ট ব্যবহার করা হবে তা সংশ্লিষ্ট এয়ারক্রাফট এর জন্য ব্যবহার উপযোগী কিনা; কোন সাইক্লোন বা অগ্নুৎপাতের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বাজে আবহাওয়া বিরাজ করছে কিনা ইতাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনার নাম হলো ফ্লাইট ডিসপ্যাচ। যে সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই কাজগুলো করা হয় সেটাই ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দীর্ঘদিন সিটা ফ্লাইট প্ল্যান সিস্টেম ব্যবহার করে আসছিল। সিটার পর সাময়িকভাবে কিছুদিন স্কাইপ্ল্যান সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীতে বিমানকে একটি স্মার্ট এয়ারলাইন্সে রূপান্তরের প্রক্রিয়া হিসেবে লুফথানাসা সিস্টেমের ‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশন কে বেছে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, লুফথানাসা সিস্টেমের ‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশন বিখ্যাত এয়ারলাইনসমুহ ব্যবহার করে যেমন: কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস এয়ারলাইন্স, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ইত্যাদি।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জানান, বিমানকে স্মার্ট এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ হিসেবে বিখ্যাত ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশন ‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা অত্যন্ত নিখুঁত, সুরক্ষিত এবং সাশ্রয়ীভাবে ফ্লাইট প্ল্যান করতে পারবো। এছাড়াও স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবহাওয়া ও প্রতিকূল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বিকল্প পন্থা অবলম্বনেও সহযোগিতা পাওয়া যাবে। ফ্লাইট আকাশে চলাকালীন লাইভ মনিটরিং, সবচেয়ে কম খরচের যাত্রা পথ নির্ধারণ এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরাপদ ফ্লাইটের জন্য নিখুঁত পারফরম্যান্স হিসাব করা সম্ভব হবে।

‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশন ব্যবহারের মাধ্যমে বছরে আনুমানিক ২০ কোটি টাকার অধিক সাশ্রয় হবে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সই একমাত্র বিখ্যাত ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশনটি ব্যবহার করছে।

 

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ