বিভিন্ন সংবাদপত্রের বরাতে আমাদের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সিকদার গ্রুপের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার সংবাদ প্রকাশ করে আসছে – এই সকল মিথ্যা সংবাদের প্রতি সিকদার গ্রুপের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। একটি বিশেষ মহল সিকদার গ্রুপের বিরুদ্ধে উক্ত সংবাদে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য একত্রিত কিছু অবিবেচিত মন্তব্য করেছে যাতে জনমনে গ্রুপটির সুনাম নিয়ে প্রশ্ন উঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার স্বনামধন্য পত্রিকায় প্রতিবাদটি প্রকাশ করে সিকদার গ্রুপের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারিতা সম্পর্কে পরিষ্কার ও সঠিক ধারনা প্রদানের ব্যাবস্থা করবেন বলে আশাকরি।
আমাদের বক্তব্যঃ
সকল সংবাদ মাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সকলের জানা থাকা প্রয়োজন যে সিকদার পরিবার যা এখন সিকদার গ্রুপ নামে প্রতিষ্ঠিত- সেই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জনাব জয়নুল হক সিকদার, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু পরিবারের নির্মম হত্যাকান্ডের পর এ দেশ থেকে ভারত পরবর্তীতে ১৯৮০ সনে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। ১৯৮১ সনে সিকদার ইনকর্পোরেট নামে করপোরেট কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ সময় ধরে সিকদার গ্রুপ রিয়েল ইষ্টেট সহ বিভিন্ন ব্যাবসা পরিচালনা করে অসছে। যে সকল ব্যাবসা হতে প্রাপ্ত মুনাফা থেকে বিদেশে বিনিয়োগ ও সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে। দেশ থেকে অর্থ পাচার করে বিদেশে কোন সম্পদ গড়ে তোলা হয়নি। দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ব্যাবসা (যা প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে) থেকে আহরিত মুনাফা থেকে দেশে গ্রুপটির সম্পদ থাকাটাই স্বাভাবিক। উল্লেখিত যে, সিএনএন মানি সুইজারল্যান্ড এর টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকানার কথা বলা হয়েছে তা একেবারেই সত্যি নয়। সিএনএন মানি সুইজারল্যান্ডের কোন টিভি চ্যানেল নয় বরং এটা একটি ওয়েব বেইজ বিজনেস নিউজ পোর্টাল মাত্র, যেখানে সিকদার গ্রুপের অংশীদারিত্ব রয়েছে।
বিদেশে কথিত অর্থপাচারে ন্যাশনাল ব্যাংককে ব্যবহার এর যে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে তা কল্পনা প্রসুত কারন, ন্যাশনাল ব্যাংক সৃষ্টির আগেই সিকদার গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি হিসাবে পরিচিত। বিদেশে পাচারতো দূরের কথা বরং গ্রুপটি সময় সময় দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আনায়ন করেছে। জনাব আব্দুল আউওাল মিন্টু এবং অন্যান্য পরিচালকগণ যখন ব্যাংকটির পরিচালনায় ছিলেন অর্থাৎ ২০০৯ সালের পূর্বে তখন ব্যাংকের মূলধন ছিল ৯১২.৪৬ কোটি টাকা, আমানত ছিল ৭,৬৮৩ কোটি টাকা এবং মুনাফা ছিল ৩৪০ কোটি টাকা। সে সময় শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করা হয় ৫৫% স্টক আকারে। জনাব জয়নুল হক সিকদার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেবার পর বর্তমানে ব্যাংকের মূলধন ৫,৪৭৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, আমানতের পরিমাণ এখন ৩৬,৬৩০ কোটি টাকা এবং লভ্যাংশ প্রদান করা হয়েছে ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৯৫% স্টক আকারে। পূর্বের ১৩১ টি শাখা থেকে বর্তমানে সংবাদে ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ এর ২০৯ টি শাখা এবং ১৫ টি উপশাখা দেশব্যাপী সেবা দিচ্ছে যা দেশের বেসরকারি ব্যাংক খাতের সর্বোচ্চ । উল্লেখিত সেন্ট কিটস নেভিস-এ যে “কই রিসোর্ট” এর কথা বলা হয়েছে তা মুলত বিদেশে অংশদারিত্ব ভিত্তিক আন্তর্জাতিক চেইন / ফ্রাঞ্চাইস প্রতিষ্ঠান। যা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শহর সমূহে চলমান আছে , যা সে দেশের সরকারের বিশেষ আনুকূল্যে প্রতিষ্ঠিত। সিকদার গ্রুপের বিভিন্ন দেশে স্থাপিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ সেই দেশের আইন দ্বারা নিবন্ধিত এবং সেখানে যথাযথ বিধি বিধান অনুসরণ করেই সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সিকদার গ্রুপের এই সফল আন্তর্জাতিক ব্যবসা পরিচালনা বাংলাদেশ এবং প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
গ্রুপের বিপুল সম্পদ ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে এক্সিম ব্যাংক এর এম.ডি কে গুলি করে হুমকির ঘঠনা টেনে আনা হয়েছে যা অপ্রাসঙ্গিক এবং অনভিপ্রেত। বিষয়টি তদন্তনাধীন এবং এ পর্যায়ে Judgmental Statement দেওয়া আইন বহির্ভূত বটে। গ্রুপের এম ডি জনাব রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদার এর রোগী সেজে দেশ ত্যাগের বিষয়টি একেবারেই অসত্য। জনাব রন হক সিকদার অসুস্থ থাকায় প্রয়োনীয় সকল অনুমোদন গ্রহনের পর বৈধভাবে এয়ার এম্বুলান্সে থাইল্যান্ডে গিয়ে জীবন রক্ষা করেন। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কোন অনুসন্ধান না করে এমন সংবাদ প্রকাশ ব্যাক্তি বিশেষের বিরুদ্বে কুৎসা রটানোর সামিল। প্রসঙ্গত গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব জয়নুল হক সিকদারের কন্যা জনাবা পারভীন হক সিকদারের সংসদ সদস্য পদ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। দেশের স্বাভাবিক আন্দোলন খেকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সিকদার পরিবারের অবদান তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সাথে গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব জয়নুল হক সিকদারের রাজনৈতিক সম্পর্কের কথা এ প্রজন্মের তরুন সাংবাদিকদের হয়ত জানা নেই। জনাব ইব্রাহীম খালেদ দেশের প্রথিতযশা ব্যাংকার তিনি আনুমান নির্ভর হয়ে বিদেশে কিভাবে টাকা গেল সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন যা কেবলই দুঃখজনক। বাংলাদেশ ব্যাংক এর গভর্নর জনাব সালাউদ্দিন সাহেব ও একই ধাচের মন্তব্য করেছেন যা সুচিন্তিত নয় বলে মনে করি। আগেই বলা হয়েছে বিদেশে বিনিয়োগ তথা বিদেশে গ্রুপের সম্পদ সেই ১৯৮১ সন থেকে বিদেশে ব্যাবসা থেকে সৃষ্ট। উল্লেখ্য যে, জনাব জয়নুল হক সিকদার এর প্রতিষ্ঠিত সিকদার গ্রুপ ১৯৬২ সাল থেকে নিয়মিত বাংলাদেশ সরকারকে রাজস্ব প্রদান করে আসছে।
উল্লেখ্য যে, সিকদার গ্রুপ অত্যন্ত সুনামের সাথে বাংলাদেশের প্রথম প্রাইভেট ব্যাংক – ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ, সর্বপ্রথম মহিলা মেডিক্যাল কলেজ – জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটাল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রাইভেট এভিয়েশন ও ইমারজেন্সি মেডিক্যাল এভাকুয়াসিওন সার্ভিস, ইকোনমিক জোন, পোর্ট ডেভেলপমেন্ট, রিয়েল ইস্টেট ও টাউনশিপ মিক্স কমার্শিয়াল প্রোজেক্ট, প্রিন্ট মিডিয়া, সুবিশাল অবকাঠামো উন্নয়ন, সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক হোটেল এন্ড রিসোর্ট, আন্তর্জাতিক চেইন রেস্টরেন্ট, আন্তর্জাতিক ওয়েব বেইজ বিজনেস নিউজ পোর্টাল – সিএনএন মানি সুইজারল্যান্ড, – পরিচালনা করে আসছে। এই সুনামের ধারবাহিকতার জন্য বিশ্বখ্যাত TIME ম্যাগাজিন এর ডিসেম্বর ২০১৯ এর এডিশনে – “Sikder Group Powering Positive Change in Bangladesh” এবং প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী FORTUNE ম্যাগাজিন এর এপ্রিল ২০২০ এর এডিশনে – “Sikder Group – Driving for Positive Change in Bangladesh” শিরোনামে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিবেদিত এই স্বনামধন্য গ্রুপটির সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য পাকিস্তানপন্থী একটি বিশেষ মহল সিকদার গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনের পূর্বে আপনাদের ন্যায় দায়িত্বশীল পত্রিকা যথাযথ অনুসন্ধান করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।