বাংলাদেশে অতি দ্রুত করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। এ লক্ষে প্রস্তুতির কাজ চলছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আইন প্রণয়নের সময় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। এখন পর্যন্ত ১৬ কোটি ভ্যাকসিনের অর্ডার আছে বলেও তিনি জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু ভ্যাকসিন আনছি না; প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করা। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অতি দ্রুত দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে আড়াই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দেড় কোটি মানুষকে ডাবল ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়ে গেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, চীন থেকে ৬ কোটি ডোজ টিকার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর দেখলাম এই টিকা আনতে দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, টাকা যত লাগুক টিকা নিয়ে আনতে হবে। আমরা কোভ্যাক্স থেকে ৫ কোটি টিকা পাবো। সব মিলিয়ে ১৬ কোটি ভ্যাকসিনের অর্ডার আছে। ভ্যাকসিন গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়া
মন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার যে উন্নতি হয়েছে; হাসপাতালের সার্ভিস ক্ষমতার উন্নতি হয়েছে সেটা করোনার সময় বোঝা গেছে। কেউ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যায়নি, যেতে পারেননি। দেশে মানুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশে উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কোভিড, নন কোভিড, ডেঙ্গু সব চিকিৎসায় দেশে হয়েছে। আমরা ১২০টি সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করেছি। করোনার চিকিৎসা ভালো হয়েছে বলেই আজ মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫ এর নেমেছে। যেখানে আমেরিকায় এখন দেড় হাজার মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে। ভারতেও অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।
বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে- সংসদ সদস্যদের এই অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজে আঠোরো লাখ টাকা ধরে দেওয়া আছে। কেউ এর বেশি নিলে সেটা আমাদের অবহিত করলে ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, এখানে প্রতিটি জেলায় মেডিক্যাল কলেজ করা হবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেই অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় মেডিক্যাল কলেজ করা হবে। ইতোমধ্যে ৩৮টি মেডিক্যাল কলেজের তিনি অনুমোদন দিয়েছেন।
চিকিৎসকদের রাজনীতি করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডাক্তারদের অ্যাসোসিয়েশন আছে। রাজনীতি সবাই করতে পারেন, ইঞ্জনিয়াররা রাজনীতি করতে পারেন, ডাক্তারা রাজনীতি করলে দোষ দেখি না। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বলি আপনারাও ড্যাব করেন, রাজনীতি করেন। করোনার সময় স্বাস্থ্য সার্ভিস ভালো ছিল। এর সুফলটাও মানুষ পেয়েছে। বেসরকারি হাসপতালে চিকিৎসার চার্জ বেশি। আমরা কথা বলেছি যাতে তারা চার্জ কমায়।