মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষিত ‘ব্যাক ফর গুড’কর্মসূচির আওতায় সে দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীরা দালালদের হয়রানি, সিন্ডিকেট বাণিজ্যের কারণে দেশে ফিরতে পারছে না। এমতবস্থায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে না ফিরলে কঠিন ঝামেলায় পড়তে হবে।
এ সময়ের মধ্যে ধরপাকড় না করতে এবং ব্যাক ফর গুড প্রক্রিয়া সহজীকরণের লক্ষ্যে ইমিগ্রেশনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টরা আজ সকাল ১০ টায় জরুরি বৈঠকে বসেছেন।
দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের এমন ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ কর্মীরা। কর্মসূচি প্রক্রিয়াধীন থাকলেও প্রতিদিনই চলছে ইমিগ্রেশন পুলিশের ধরপাকড় অভিযান। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের (জেআইএম) ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত ১৫ হাজার ৯৯৬ অভিযানের মাধ্যমে মোট ৪৭ হাজার ৯৩ অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে।
এদিকে দেশটির সবকটি ইমিগ্রেশন অফিসে স্পেশাল পাস সংগ্রহ করতে হাজার হাজার অবৈধ বিদেশি কর্মীরা ভিড় করছেন। ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ব্যাক ফর গুড কর্মসূচির আওতায় ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৩৬৪ জন অবৈধ অভিবাসী নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ৪৬ হাজার ৯৭৬ জন ব্যাক ফর গুডের আওতায় নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন এবং ১৯ হাজার ৩৮৮ জন নিজ দেশে ফিরে যেতে অপেক্ষায় রয়েছেন।
এদিকে, ব্যাক ফর গুড কর্মসূচির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে সবকটি বিমানের টিকিটের দাম পাঁচগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে যেখানে ৪০০ রিংগিতে মিলত টিকিট, এ কর্মসূচির শেষ সময়ে এসে তা হয়েছে ১৮শ থেকে ১৯০০ পর্যন্ত। তবুও মিলছে না বিমান টিকিট।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সসহ সবকটি বিমানের সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কম মূল্যে টিকিট বিক্রি ও অতিরিক্ত ফ্লাইট বাড়িয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন।