রোববার (২৫ এপ্রিল) দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছে। এদিন রাত সাড়ে ৯টায় ১৩ হাজার ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় বলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) থেকে জানানো হয়েছে।
পিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) সাইফুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ছিল চার হাজার ৯৮২ মেগাওয়াট। এক যুগের ব্যবধানে সেটা বেড়েছে প্রায় ছয় গুণ। বর্তমানে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য মিলিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট।
এক যুগ আগে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ছয় হাজার মেগাওয়াট। এর বিপরীতে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারত অর্ধেক (৩৬০০ থেকে ৩৭০০ মেগাওয়াট)।
এখন চিত্রটি উল্টে গেছে। বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা এখন ১৫ হাজার মেগাওয়াটের মতো। উৎপাদন সক্ষমতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এখন দেশে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট।
গত এক যুগে ১১৪টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে সরকার। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২৭টি। এখন সেই সংখ্যা ১৪১টি।
তবে বিদ্যুৎ খাতে এর চেয়ে বড় সাফল্য সেবার বিস্তৃতি। দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষকে এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এনেছে সরকার।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জ্বালানি সংকটে ১২ বছর আগে বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্থবিরতা বিরাজ করছিল। ওই অবস্থায় মিশ্র ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা নেয় সরকার। বাড়ানো হয় গ্যাসের উৎপাদন।
২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অর্জন করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় ২০২০ সালের মধ্যেই।
এই ১২ বছরে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০০৯ সালে ছিল এক কোটি আট লাখ। এখন গ্রাহক হয়েছে তিন কোটি ৯১ লাখ।
দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার ঘাটতি মেটাতে আমদানির সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার, যা এর আগের কোনো সরকারই করেনি। বর্তমানে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছে।
১২ বছর আগে গ্রিড সাবস্টেশন ক্ষমতা ছিল ১৫ হাজার ৮৭০ এমভিএ। সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ৪৮ হাজার ১৫ এমভিএ।