বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট, বলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এর মধ্যে আমদানিসহ গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ২১ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট, ক্যাপটিভ ২৮০০ মেগাওয়াট এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৩৮২ মেগাওয়াট।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য আলী আজমের (ভোলা-২) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ চাহিদা বিবেচনা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং যথাসময়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। পরিকল্পনাসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ১৪ হাজার ৩৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২১ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
তিনি জানান, মোট ২ হাজার ৮৯৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২১ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। মোট ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২২ হতে ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
মোট ১৫ হাজার ১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে, যা ২০২৪ সালের মধ্যে চালু হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারত ও নেপাল থেকে ১ হাজার ৯৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যা ২০২২ হতে ২০২৬ সালের মধ্যে শুরু হবে।