দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নদী পারা-পারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে ৯ শতাধিক যানবাহন। আটকে পড়া যানবাহনগুলোর মধ্যে শতাধিক যাত্রীবাহী বাস রয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরিপারের অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও যানবাহনের চালকেরা।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফায়ার সার্ভিস এলাকা পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এই মহাসড়কে যান চলাচল সচল রাখতে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ মোড়ে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে তিন শতাধিক যানবাহন ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাসযাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা রাত ৩টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছেছি। এখন পর্যন্ত ফেরির নাগাল পাইনি। ঘণ্টার হিসাবে ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ ভোগান্তি কর্তৃপক্ষের সৃষ্টি।
রাজবাড়ী বাসমালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসান বলেন, ফেরি চলাচলে ধীরগতির কারণেই ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে আসছে। ফলে গাড়ির জট তৈরি হচ্ছে। ভোগান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বাসের সিডিউল বিপর্যয় ঘটবে।
গোয়ালন্দে আটকে পড়া ট্রাকচালকেরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ফেরি পার হতে আরও দুই দিন সময় লাগবে। প্রচণ্ড তাপদাহে ফাঁকা রাস্তায় আমরা অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছি। কতক্ষণ গাড়ির মধ্যে বসে থাকা যায়?
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দীন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।