আজ পহেলা বৈশাখ। চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে ১৪২৭ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হবে নতুন বছর, ১৪২৮। ঐতিহ্যবাহী এ দিনটিতে বাঙালি তার প্রাণের আবেগ ঢেলে দেয়। মেতে ওঠে নানা উৎসবে। তবে গত বছরের মতো এবারও সেই আবেগে ভাটা পড়েছে। গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছে মহামারি করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এ ভাইরাস আঘাত হেনেছে বাংলাদেশেও।
করোনার থাবায় সব কিছু বিমর্ষ হয়ে গেছে, আজ আর রমনার বটমূলে প্রাণের উচ্ছাস নেই। ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের সুর ছুঁয়ে যাওয়া নেই। চারুকলার শিল্পীদের রঙতুলির আঁচড় নেই, নেই মঙ্গলযাত্রা। আশা জেগে থাকবে, প্রত্যাশা ডানা মেলে থাকবে। ঘরে ঘরে বন্দি হয়ে পড়েছে আনন্দের সেই বাঁধভাঙা জোয়ার। তবুও আজ বাঙালির প্রাণের পহেলা বৈশাখ।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিটিভিসহ বেসরকারি টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। জাতীয় দৈনিকগুলো বের করেছে ক্রোড়পত্র।
আজ পুরনো দিনের শোক-তাপ-বেদনা-অপ্রাপ্তি-আক্ষেপ ভুলে অপার সম্ভাবনার দিকে, স্বপ্নের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়ার দিন। সকল ভয়কে জয় করার মানসে নতুন করে জেগে ওঠার উপযুক্ত সময়।
সবার মনে পহেলা বৈশাখের সেই চিরায়ত গান গুঞ্জরিত হলেও এবারও তার আবেদন ভিন্ন। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাঙালি এবারও ঘরবন্দি হয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় পালন করবে পহেলা বৈশাখ।