নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত দোতলা রাস্তা নির্মাণসহ প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২০৬ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৬ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, সেতু বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ‘পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও দোতলা রাস্তা নির্মাণ’ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। এক হাজার ২০৬ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৬ টাকায় এর পূর্ত কাজ দেওয়া হয়েছে শেনডং লুকিয়াও গ্রুপ ও চায়না শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপকে।
সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, ব্যয়বহুল প্রক্রিয়ায় ভূমি অধিগ্রহণ না করে তার চেয়ে কম খরচে দোতলা সড়ক নির্মাণ করে সড়ক প্রশস্তকরণের পরিকল্পনাটি নেওয়া হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের কিছু শিল্পঘন এলাকায় শিল্পের মালামাল পরিবহনসহ বিভিন্ন কারণে সড়কটি ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পের আওতায় ১০ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করা হবে। ৯ দশমিক শূন্য ৬ কিলোমিটার হবে দোতলা রাস্তা। ৯ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অস্থায়ী সড়ক ও ১৭ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করা হবে সেখানে।
তিনি বলেন, যে রাস্তা আছে এটা অত্যন্ত সংকীর্ণ। মুন্সিগঞ্জে অনেকগুলো শিল্পকারখানা রয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে শিল্পের মালামাল পরিবহন অত্যন্ত জটিল। রাস্তা প্রশস্ত করতে গিয়ে জমি অধিগ্রহণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল ছিল। তার চেয়ে দোতলা রাস্তা করলে খরচ কম হবে। এজন্যই দোতলা রাস্তা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘কুড়িগ্রাম (দাসেরহাট)-নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউপি-০৪ এর পূর্ত কাজের জন্য টিইসির সুপারিশ বাতিল করে পুনঃমূল্যায়নের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।