যুক্তরাষ্ট্রে নাসা’র জেট প্রপুলশন ল্যাবরেটরীতে (জেপিএল) রকেট ডিজাইন ও উন্নয়নে দীর্ঘ তিন দশক ধরে নিয়োজিত ছিলেন খ্যাতনামা প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ ও বিখ্যাত বিজ্ঞানী ড. জাহিদুল হাসান মুশফিকুর রহমান যিনি ড. জাহিদুল রহমান নামেই সর্বাধিক পরিচিত। গত ১৬ অক্টোবর ২০২৩, সোমবার লস এঞ্জেলেসের সিডার সাইনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এই বরেণ্য বিজ্ঞানী (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন)।
প্রসঙ্গত: নাসা’র এর খ্যাতনামা বিজ্ঞানীদের সাথে পৃথিবীর সীমানা ভেদ করে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে মহাযাত্রা, জানা ও জানানোর প্রচেষ্টায় গবেষণা ও অগ্রসরে ড. জাহিদুল রহমানের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি নাসা’র উদ্যোগে মঙ্গল গ্রহ অভিযানে রোভার মহাযানের ডিজাইন ও নির্মানে নিয়োজিত দক্ষ দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও ছিলেন তিনি।
ড. জাহিদুল রহমান- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি-বুয়েট থেকে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করে ট্রেক্সাস এএন্ডএম ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে অগ্রসর গবেষণায় নিয়োজিত হন।
জেপিএল নাসা’য় ড. রহমান কাজের মাধ্যমে তাঁর চিন্তাধারার স্পষ্টতা, বিশ্লেষণ, বিভিন্ন জটিল সমস্যা সমাধানে সুচিন্তিত দিকনির্দেশনা, পরামর্শ, কর্মপদ্ধতি এবং সকলের সাথে সহযোগীতা ও ফলপ্রসু প্রচেষ্টায় সুখ্যাতি, বিশিষ্টতা ও স্বীকৃতি অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, ড. জাহিদুল রহমানের আদি বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। তিনি জন্মগ্রহণ করেন যশোর জেলায়। তাঁর পিতা জনাব আবদুর রহমান উনিশ শতকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদে এমএসসি’তে একমাত্র মুসলমান ছাত্র ছিলেন। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ড. জাহিদ পিতার ধীশক্তি ও গাণিতিক মেধার প্রস্ফুরণ করতে পেরেছিলেন।
ড. জাহিদুল রহমান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি’র কোষাধ্যক্ষ জনাব এইচ এন আশিকুর রহমানের ছোট ভাই। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রুমানা রহমান, এক ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।