নিবন্ধনের তালিকা পেলেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এ মাসেই ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আগামী ৩০ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তালিকা পেলেই আমরা টিকা কার্যক্রম শুরু করে দেবো।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ফাইলোরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ২১ কোটি টিকা ক্রয় করেছি, সেগুলো প্রতি মাসেই আসছে। গতকালও চীন থেকে ৫০ লাখ টিকা এসেছে। এ মাসে কোভিড ফ্যাসিলিটি থেকে টিকা আসছে। এছাড়া আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। সব ঠিক থাকলে এ মাসেই আমরা তিন কোটি টিকা দিতে পারবো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী মাসে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ৫০ লাখ টিকা আসার কথা রয়েছে। আমাদের ক্রয়কৃত টিকা যদি শিডিউল অনুযায়ী আসতে থাকে, তাহলে আশা করি প্রতি মাসেই তিন কোটির অধিক টিকা দিতে পারবো। এক মাসে সেটি চার কোটিও হতে পারে। আমরা কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে নিয়মিত টিকা পাচ্ছি। কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তারা আমাদের টিকা কর্মসূচি ও কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রশংসা করেছে। আমরা বলেছিলাম আমাদের টিকা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য, তারাও তা দেবে বলে আমাদের আশা দিয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের স্কুলশিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটির মতো। তাদের জন্য প্রায় তিন কোটি টিকা লাগবে। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমাদের হাতে ফাইজারের টিকাও রয়েছে। আমরা এখন অপেক্ষা করছি শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের জন্য। আর নিবন্ধটা আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হবে। তাদের কাছে তালিকা আসলে তারাই সেটি দেখবে। নিবন্ধটা সম্পন্ন হলেই টিকা কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বারদান জ্যাং রানা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।