নির্যাতনের অভিযোগে অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহার করা মামলায় গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি ঢাকার আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেজগাঁওয়ের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের এস আই মাসুমা আফ্রাদ বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, ২২ মার্চ মামলাটি জামিন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। ইলিয়াস অসুস্থ রয়েছে জানিয়ে জামিন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী।
অন্যদিকে নির্যাতনের অভিযোগে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইলিয়াসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ইলিয়াসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ৩ জানুয়ারি বনানী থানায় মামলাটি করেন সুবহা।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সুবহার সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। গত ১ ডিসেম্বর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় সুবহার পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা মোতাবেক ১২ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ব্রান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হয়নি। এরমধ্যে সুবহা জানতে পারে ইলিয়াসের একাধিক বিয়ে রয়েছে এবং অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। এরই মধ্যে ইলিয়াস সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরো ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কিনতে সুবহার মায়ের কাছে আরো ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার। পরবর্তীতে গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। পরদিন আবার ৮০ লাখ টাকা যৌতুক চায়। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইলিয়াস সুবহাকে কিল-ঘুষি-লাথি ও চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালের সঙ্গে ঠুকে জখম করে। এরপর ইলিয়াস সুবহাকে ব্যথার ওষুধ বলে অন্য ওষুধ খাওয়ায়। একটু পর সুবহা অজ্ঞান হয়ে যান। এ সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।