বুধবার, ৬ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

পর্যটক বরণে প্রস্তুত রাঙ্গামাটি ও সাজেক, বেড়েছে হোটেল বুকিং

প্রকাশঃ

পর্যটক বরণে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে রাঙ্গামাটি ও সাজেক। করোনার কারণে গত দুই বছর পর্যটকের দেখা না মিললেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এবার ঈদে আশায় বুক বেঁধেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, ঈদে সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ইতিমধ্যে বেশিরভাগ হোটেল বুকিং হয়েছে। পাশাপাশি রাঙ্গামাটি হোটেল-মোটেলও অগ্রিম বুকিং রয়েছে। পর্যটক বরণে বাড়তি প্রস্তুতি সেরেছে হোটেল ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ট্যুরিস্ট বোট ও রেস্টুরেন্টগুলোর রঙিন করে সাজানো হয়েছে।

রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ কাপ্তাই হ্রদের নৌবিহার। নৌবিহারে রয়েছে প্রায় ৫০০ ইঞ্জিনচালিত বোট। সবচেয়ে বেশি বোট মেলে বিখ্যাত ঝুলন্ত সেতুর পাড়ের ঘাটেই।

এ ঘাটের ব্যবস্থাপক রমজান আলী জানান, এর মধ্যেই বেশিরভাগ বোটই প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ সেরে নিয়েছে। কেউ রং করেছে, কেউ সিট বা সিটের গদি বদলেছে। অনেকেই লাইফ জ্যাকেট কিনেছে নতুন করে কিংবা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে নিয়েছে। সব মিলে প্রস্তুতি কমবেশি সবাই নিয়ে রেখেছে।

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই বলেন, প্রায় শতাধিক কটেজ সাজেকে। বেশিরভাগই বুকিং হয়ে গেছে। করোনায় যে ক্ষতি হয়েছে ধীরে ধীরে তা কমবে বলে মনে করছি। তবে করোনা সংক্রমণ কমলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনুরোধ করছি বুকিংয়ের সময়।

আঁকাবাঁকা ও উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ বেয়ে রাঙ্গামাটি শহরে এসে ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েল পার্ক, আরণ্যক, বৌদ্ধ বিহারসহ নানান স্পটে ঘুরে দেখেন পর্যটকরা। আর এসব স্পটে পর্যটক বরণে নেয়া হয়েছে বাড়তি প্রস্তুতি। পাশাপাশি থাকার হোটেলেও তাদের দায়িত্ব সেরে নিয়েছে।

হোটেল নাদিশার ব্যবস্থাপক শাহীনুর খান বলেন, আমাদের ৫০টি রুম রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি রুম বুকিং হয়েছে। আশা করছি ঈদে ভালো পর্যটক আসবে।

রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, মোটেল-কটেজে ৮৮ রুম আছে। এর মধ্যে ৭০টি বুকিং হয়েছে। আশা করছি, বাকিগুলোও এ সপ্তাহের মধ্যে বুকিং হয়ে যাবে। বছরের এ সময়টার জন্য আমরা এমনিতেই প্রস্তুত থাকি। এ বছরও ব্যতিক্রম হবে না।

রাঙ্গামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন সেলিম জানান, শহরে ৫৩টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। হোটেলগুলোতে প্রায় পাঁচ হাজার বোর্ডার রাখা যায়। করোনাকালের কঠিন সময়ে হোটেলগুলো দুঃসহ সময় পার করেছে, অনেকেই হোটেল বন্ধও রেখেছে। আশা করছি, এ মৌসুমে সবাই ঘুরে দাঁড়াবে। ইতিমধ্যে সব হোটেলেরই অর্ধেকেরও বেশি বুকিং হয়েছে।

এদিকে পর্যটকরা যেন কোনো রকম হয়রানি শিকার না হয় সে বিষয়ে নজর রেখেছে পুলিশ প্রশাসন। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

রাঙ্গামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ঈদে রাঙ্গামাটিতে প্রচুর পর্যটক আসবে বলে ধরণা করা হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ