পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মত ‘বিপজ্জনক’ ইন্টারনেট গেইমের লিংক বন্ধ করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি।আদালতের আদেশ পাওয়ার পর এই লিংক বন্ধ করেছে বাংলাদেশ।
কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বুধবার বলেন, ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমকে (ডট) এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য ‘ক্ষতিকর’ অ্যাপগুলোও বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কতগুলো অ্যাপ বন্ধ করা হবে জানতে চাইলে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, টিকটক, বিগো লাইভ ও লাইকির মত অ্যাপসহ আরো বেশ কিছু অ্যাপ বাংলাদেশে বন্ধের প্রক্রিয়া তারা শুরু করেছেন।
“এখন অ্যাপগুলোর লিংক বন্ধ করলেও ভিপিএন দিয়ে চালানো যায়। এসব বন্ধ করার মত সক্ষমতা আমাদের নেই। এই সব অ্যাপের কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েও আমরা বন্ধ করার অনুরোধ জানাব।”
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, আগে কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট বন্ধ করতে হলে ইন্টারনেট গেইটওয়ে, ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা দিতে হত। এখন ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম নিজেই সেটা করতে পারে।
গত ১৬ অগাস্ট দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ এ ধরনের ‘বিপজ্জনক’ সব গেইম তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
এসব অনলাইন গেইম এবং টিকটক, লাইকির মত ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়।
এছাড়া এ ধরনের অনলাইন গেইম এবং অনলাইন স্ট্রিমিং অ্যাপ নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা করার জন্য একটি কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং এ বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে রুলে বিবাদী করা হয়েছে।
দেশের শিশু-কিশোর, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এসব গেইম ও অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপের ‘বিরূপ প্রভাব’ তুলে ধরে গত ১৯ জুন বিবাদীদের কাছে উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। তাতে সাড়া না পেয়ে তারা গত ২৪ জুন হাই কোর্টে ওই রিট আবেদন করেন।