প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ( পিইসি ) পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত আকারে নেয়া হতে পারে। অটোপাস না দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজ ক্লাসে বসে এ পরীক্ষা আয়োজন করে সেটি মূল্যায়নের ভিত্তিতে পিইসির সার্টিফিকেট দিতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আমরা আর অটোপাস দিতে চাই না। এতে করে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সে কারণে তাদের সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও কিছু পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়নের মাধ্যমে সার্টিফিকেট দিতে চাই।
জাকির হোসেন বলেন, আগামী মাসের শুরু থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছি। দেশের সব বিদ্যালয় নতুন করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী মাসে বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান শুরু করা সম্ভব হলে প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একদিন করে ক্লাস নেয়া হবে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে দুইদিন শ্রেণি ক্লাসে পাঠদান করানো হবে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়িয়ে তার ওপর ক্লাসে পরীক্ষা নেয়া হবে। সেটির ওপর মূল্যায়ন করে ফলাফল দেয়া হবে।
এদিকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ‘হোমওয়ার্ক’ বা বাড়ির কাজ দেয়া শুরু করেছেন শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীদের বাসায় শিক্ষকরা গিয়ে বাড়ির কাজ দিয়ে আসছেন। সপ্তাহ শেষে গিয়ে আবার তা বুঝিয়ে নিচ্ছেন। টিভি ও কমিউনিটি রেডিওতে পাঠদান সম্প্রচারে সবাইকে যুক্ত করতে না পারলেও বাড়ির কাজের মাধ্যমে অধিকাংশ প্রাথমিকের শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন।
তারা বলছেন, ‘বাড়ির কাজ’ করিয়ে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে নতুন শ্রেণিতে তুলে দেয়া হবে। কাউকে অটোপাস দেয়া হবে না। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সারাদেশে প্রায় ৩০ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে থাকে।