মঙ্গলবার, ১৯শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

পূর্বাচলে দুই মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলা

প্রকাশঃ

আগামী বছরের ১৭ মার্চ থেকে দুই মাসব্যাপী রাজধানীর পূর্বাচলে স্থায়ী ক্যাম্পাসে হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। পূর্বাচলে ‘বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’-এর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের সৌন্দর্যবর্ধন। ডিসেম্বরের শেষে মেলা কমপ্লেক্স বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গতকাল রবিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ১৪১তম বোর্ডসভায় পূর্বাচলে মেলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এম আহসান, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, এবারের মেলায় অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। থাকছে ভার্চুয়াল ও সশরীরে উপস্থিত হওয়ার ব্যবস্থা। করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে সীমিত আকারে প্রতি দিনের জন্য অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হবে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গেটের সংখ্যা বাড়ানো হবে, যেন মানুষ ভিড় এড়িয়ে মেলায় প্রবেশ এবং বের হতে পারেন। এ জন্য প্রথমবারের মতো দুই মাসব্যাপী মেলা করা হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ডিসেম্বর শেষে মেলা কমপ্লেক্স বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর পর আড়াই মাসের মাসের মধ্যে সব আয়োজন করা হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে বড় আয়োজন করে মেলা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা হবে।

সূত্র জানায়, মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ভিন্ন আঙ্গিকে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বাণিজ্যিক বিবেচনায় না নিয়ে ঐতিহ্য ধরে রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে এবার মেলায়। যেহেতু সাজানো গুছানো হলে মেলা হবে সে জন্য প্রস্তুতির তেমন সময় প্রয়োজন হবে না।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০ একর (৮.১ হেক্টর) জমিতে এই প্রদর্শনী সেন্টার করেছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেইট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএসসিইসি)। এটি বাংলাদেশ-চীনের একটি যৌথ প্রকল্প। তদারকি কর্মকর্তারা আরও জানান, ফ্রেম ও স্টিল স্ট্রাকচারে তৈরি প্রদর্শনীটিতে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। উন্নত নির্মাণসামগ্রী এবং প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। বিশাল প্রদর্শনী হলের মাঝে পর্যাপ্ত খোলা জায়গার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মূল দুটি প্রদর্শনী হল করা হয়েছে খোলা স্থানের দুই পাশে। প্রতিটির আয়তন সাত হাজার বর্গফুট। প্রদর্শনী হলের প্রতিটিতে ৯ বর্গফুটের ৪০০ করে বুথ রাখা হবে।

জানা গেছে, ব্যবসা-বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর মেলার আয়োজন করা হলেও সব শ্রেণির মানুষের সমাগমে এটি পরিণত হয় মিলনমেলায়। এতদিন স্বল্প পরিসরে অস্থায়ীভাবে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এ মেলার আয়োজন করা হতো। অপ্রতুল জায়গার কারণে স্থায়ী ভেন্যুর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পূর্বাচলে বিশাল পরিসরে কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নতুন পণ্য উৎপাদন এবং তা যথাযথভাবে প্রদর্শনে এ মেলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে বিশেষায়িত বাণিজ্যমেলা আয়োজন করার জন্য একটি স্থায়ী কেন্দ্র হবে। একই সঙ্গে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে। এ সেন্টার নির্মাণের মাধ্যমে স্থানীয় পণ্যের ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপিটিটিভনেস’ বাড়বে। উন্নত হবে বাণিজ্যিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশের। এতে দেশের বিনিয়োগ বাড়বে। পাশাপাশি জোরদার হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ