বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত “এবি ব্যাংকের ডিএমডি আব্দুর রহমান গ্রেফতার” শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
মোঃ এরশাদ আলী ব্যাংকিং সেক্টরে একজন চিহ্নিত ঋণখেলাপী হিসেবে পরিচিত। দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এরশাদ আলীর কাছে পাওনা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। প্রকৃতপক্ষে, মামলার বাদী, এরশাদ গ্রুপের কাছে এবি ব্যাংকের মোট অনাদায়ী ঋণ ১৭৬ কোটি টাকা, যার পুরোটাই বর্তমানে মন্দ ঋণ হিসাবে বিবেচিত এবং এবি ব্যাংক এরশাদ গ্রুপের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে চারটি ফৌজদারী মামলা করেছে (মামলা নং- ৬৬১/২০১৮, ৭৫৭/২০১৮, ৫৪২/২০১৯, ৩৪/২০১৯)। এছাড়াও এবি ব্যাংক এরশাদ আলীকে প্রদত্ত ঋণের টাকা উদ্ধারে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে (মামলা নং-৫৩০/২০২০) যাহা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মোঃ এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে বর্তমানে এবি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি ও প্রতারনা মামলায় গ্রেফতার পরোয়ানা রয়েছে এবং তিনি Session court for trail -এর অধীনে জামিনে রয়েছেন।
আমরা মনে করি উক্ত মামলা সমূহের জের হিসেবে ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে মোঃ এরশাদ আলী সি. এম. এম. আদালত, ঢাকাতে এবি ব্যাংক লি: এর ডিএমডি- জনাব আব্দুর রহমান এবং অন্যান্যরে বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য/উপাত্য গোপন রেখে সি. আর মামলা নং-৩৮৫/২০২১ দায়ের করেন যাহা বভ্রিান্তকির ও উদ্দশ্যেপ্রণোদতি।
এবি ব্যাংক দেশের প্রথম সারীর ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং দেশের অর্থনীতিতে উন্নয়নের অংশীদার হিসাবে সবসময়ই কাজ করে এসেছে। বর্তমান ঋণ খেলাপীর ধারার বিপরীতে এবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যাংকের টাকা উদ্ধারের জন্য অন্যান্য ঋণ খেলাপীদের মত এরশাদ আলীর বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে যা একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং ভবিষ্যতে এটি আরো গতিশীল হবে।
এমতাবস্থায় এরশাদ আলীর এই হীন আচরণ উদ্দেশ্য মুলক এবং এবি ব্যাংকের পাওনা অর্থ আদায়ে ব্যহত করার অপচেষ্টা মাত্র। এবি ব্যাংক এই ব্যাপারে আপোষহীনভাবে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবে।