প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অত্যন্ত সক্রিয়, তারা তীক্ষ্ণ নজরদারি করছেন, যেমনটা এসএসসিতে করেছিলেন। কেউ যদি গুজব ছড়ানো কিংবা প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ সোমবার সকালে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু উপলক্ষে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কথা বলেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতর সংস্থা ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি এসএসসি পরীক্ষার মতোই সবার সহযোগিতায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনো ঘটনা ছাড়াই আমরা এইচএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারব। এ বিষয়ে শিক্ষক, পরীক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা চাই।’
এসএসসি পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ছাপা নিয়ে যে সমস্যা হয়েছিল সে প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একটি জায়গায় ছাপা কিছু অস্পষ্ট ছিল, একটি প্রশ্নপত্রে দুই পৃষ্ঠায় দুই রকম প্রশ্ন ছাপা হয়েছিল, সেই পরীক্ষা বাতিল করে আবার নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি এবার কোনো সমস্যা হবে না।’
আজ সকাল ১০টা থেকে ১০টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে ২০১৯ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার দেশের নয় হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষার আসনে বসেছে। এর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ জন এবং ছাত্রী ছয় লাখ ৮৭ হাজার নয়জন।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এইচএসসি পরীক্ষায় মোট অংশ নিচ্ছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৮১২ জন এবং ছাত্রী পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৫ জন।
এই পরীক্ষায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় এক লাখ ২৪ হাজার ২৬৪ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৮৮ হাজার ৪৫১ জন।
এবার দেশের বাইরের আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২৭৫ জন। এ ছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছে এবং অটিজমসহ বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে, এমন শিক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট বাড়তি সময় দেওয়া যাবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ মে। এর পর ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।