বিশ্বে যখন করোনার সংক্রমণ অনেকটাই স্বাভাবিক তখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব বাণিজ্য বাজারে। এমন পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারি মাসে ৪২৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা। এই আয় গত বছরের ফেব্রুয়ারির চেয়ে ৩৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি।
এর মধ্য দিয়ে টানা ষষ্ঠ মাসের মতো বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৪ বিলিয়ন ডলারের ওপরে থাকল। বুধবার (২ মার্চ) প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৩ হাজার ৩৮৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানির এই পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ১৬ শতাংশ বেশি।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রপ্তানি হয়েছিল ২ হাজার ৫৮৬ কোটি ২৩ লাখ ডলারের পণ্য। আর এ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ২ হাজার ৯০৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। সেই হিসাবে আট মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ এগিয়ে আছে রপ্তানি খাত। আর গত আট মাসের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের সুখবরটিও এসেছে এই ২৮ দিনের ফেব্রুয়ারি মাসে।
এর আগে অক্টোবর মাসে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, ডিসেম্বর মাসে ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, জানুয়ারি মাসে ৪৮৫ কোটি ডলারের পণ্যরপ্তানি হয়েছিল।
নিট ও উভেন পণ্য রপ্তানিতে এই সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ২ হাজার ৭৪৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এর মধ্যে ১৫০৭ কোটি ডলারের নিট পণ্য রপ্তানি করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ শতাংশ। আর ১ হাজার ২৪৩ কোটি ডলারে উভেন পণ্য রপ্তানি করে ২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আরও পড়ুন : ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার
দেশের সামগ্রিক রপ্তানি আয়ের ৮১ থেকে ৮২ শতাংশ আসে পোশাকপণ্য থেকে। পোশাকখাতের পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৯ কোটি ডলারের হোম টেক্সাটাইল পণ্যরপ্তানি হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে।
পাশাপাশি ৮৫ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য, ৭৯ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ৭৮ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যরপ্তানি হয়েছে।