ফেসবুকে একবার ঢুঁ মেরে নোটিফিকেশনগুলো দেখি বললে ঘণ্টা পেরোনোর আগে দেখা আর শেষ হয় না। তবে ঘণ্টা পেরোনোর ব্যাপারটা যদি কেউ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, তবে হয়তো ফেসবুকে অযথা সময় ব্যয় কমতে পারে। আর সে কাজের ভার খোদ ফেসবুকই নিয়েছে। ফেসবুকে একজন ব্যবহারকারী দিনে কত সময় কাটাচ্ছেন, তা ফেসবুকেই দেখে নেওয়ার সুবিধা আছে। সুবিধাটির নাম ‘ইয়োর টাইম অন ফেসবুক’। আর ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামে সেটি ‘ইয়োর টাইম’ হিসেবে পরিচিত। সেখানে আপনি যদি ‘সেট ডেইলি রিমাইন্ডার’ সচল করে দেন, তবে ফেসবুক ব্যবহারের সময় সীমা ছাড়িয়ে গেলে আপনাকে জানিয়ে দেবে। আবার চাইলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফেসবুকের নোটিফিকেশন বন্ধ করেও দিতে পারেন।
টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে সুবিধাটির বেশ কিছু খারাপ দিকও উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, সেখানে ব্যবহারকারী ঠিক কত সময় সক্রিয়ভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন, পোস্ট-লাইক-কমেন্ট করছেন, আর কত সময় কেবল আনমনে নিউজফিড স্ক্রল করে যাচ্ছেন, তা উল্লেখ করা হয় না। তা ছাড়া সুবিধাটি চোখের সামনেও রাখা হয় না। থাকে সেটিংসের আড়ালে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক সুবিধাটি কীভাবে ব্যবহার করবেন: প্রথমে ফেসবুক অ্যাপের ওপরের ডান কোনায় থাকা আড়াআড়ি তিন রেখাযুক্ত আইকনে ক্লিক করুন। এরপর ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’তে ট্যাপ করুন। এবার ‘ইয়োর টাইম অন ফেসবুক’ নির্বাচন করুন। ওই ডিভাইসে আপনি দৈনিক গড়ে কতক্ষণ ফেসবুক অ্যাপ ব্যবহার করেছেন, তা দেখাবে সেখানে। সেই সঙ্গে গত সাত দিনে কবে কতখানি সময় কাটিয়েছেন, তা-ও থাকবে। আর কোনো নির্দিষ্ট দিনে কত সময় ফেসবুকে ব্যয় করেছেন, তা দেখার জন্য ওই দিনে ট্যাপ করতে হবে।
কতক্ষণ ফেসবুক ব্যবহার করলে আপনাকে নোটিফিকেশনে জানাবে, তা ঠিক করতে প্রথমে ওপরের নির্দেশনা মেনে ফেসবুক অ্যাপের ‘ইয়োর টাইম অন ফেসবুক’ অংশে যান। এরপর ‘সেট ডেইলি টাইম রিমাইন্ডার’-এ ট্যাপ করুন। এরপর যেকোনো পরিমাণ সময় ঠিক করে দিয়ে ‘সেট রিমাইন্ডার’-এ ট্যাপ করতে হবে।
এখানে মনে রাখতে হবে, কেবল ওই ডিভাইস থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারের আনুমানিক হিসাব দেখাবে সেখানে। ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারের সময় সেখানে অন্তর্ভুক্ত নেই। আর নোটিফিকেশনে কেবল ফেসবুক ব্যবহারের নির্ধারিত সীমা পেরোলে জানাবে, আপনাকে লগআউট বা ফেসবুক অ্যাপ বন্ধ করে দেবে না। সে কাজটা আপনাকে নিজ উদ্যোগেই করতে হবে।