শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ০৯ আগস্ট ২০২৩ইং তারিখে ব্যাংকের করপোরেট প্রধান কার্যালয়ের পর্ষদ সভা কক্ষে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে তাঁর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভার আয়োজন করে। উক্ত সভায় ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ ইউনুছ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের পরিচালক ড. আনোয়ার হোসেন খান, এমপি, জনাব এ. কে. আজাদ ও ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌহিদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল করিম (নাজিম) (ডিজিটাল প্লাটফর্মে অংশগ্রহণ করেন), পরিচালকবৃন্দ জনাব মোঃ সানাউল্লাহ সাহিদ, জনাব আক্কাচ উদ্দিন মোল্লা, জনাব খন্দকার শাকিব আহমেদ, জনাব আব্দুল হালিম, ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আব্দুল আজিজ, জনাব এস. এম. মঈনুদ্দীন চৌধুরী ও জনাব মিঞা কামরুল হাসান চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ইমতিয়াজ ইউ. আহমেদ ও জনাব এম. এম. সাইফুল ইসলাম, ব্যাংকের কোম্পানী সচিব জনাব মোঃ আবুল বাশার এবং সিএফও জনাব মোঃ জাফর ছাদেক, এফসিএ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের জনসংযোগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রধান জনাব মোঃ সামছুদ্দোহা (শিমু)।
উক্ত সভায় আলোচকবৃন্দ আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও তাঁর জীবন দর্শন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রচারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তাগণ বলেন, দেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুবিশাল অবদান বাঙ্গালি জাতি চিরকাল কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী এবং আপোষহীন নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদী। তিনি সবসময় এদেশের মানুষের মুক্তি নিয়ে চিন্তা করতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে সোনার বাংলা উপহার দিয়ে গেছেন। যতদিন এই বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম আমাদের স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে। স্বাধীনতা এবং শোষিত বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ে প্রতিবাদ ও সংগ্রাম করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে তাঁর জীবনের বেশীরভাগ সময় জেল হাজতে থাকতে হয়েছে।
সভায় আলোচনা শেষে, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দো’য়া ও মোনাজাত করা হয়।