বিদ্যুতের পর আরেক দফা বেড়েছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। এর প্রভাব পড়েছে জ্বালানি কাঠ ও গুঁড়ির (ভুষি) ওপর। গ্যাসের দাম বাড়ার ঘোষণার পর থেকেই হু হু করে বাড়ছে এসব জ্বালানির দামও।
গ্যাস ক্রেতারা জানান, খুচরা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাসের দাম এক হাজার ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এ দামেও মিলছে না সিলিন্ডার।
গ্যাস ব্যবসায়ী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ার পর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাসের দামও বাড়ানো হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের দাম একলাফে ২৬৬ টাকা বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৪৯৮ টাকা, যা জানুয়ারি মাসে ছিল ১ হাজার ২৩২ টাকা। তবে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বিভিন্ন কোম্পানি বেশি টাকা নিচ্ছে বলে ক্রেতাদের।
চার দিনের ব্যবধানে জ্বালানি কাঠের দাম বেড়েছে মণ প্রতি ১০০ টাকা আর গুঁড়ির (ভুষি) দাম বস্তা প্রতি ৫০ টাকা বেড়েছে। কিন্তু এরপরও মিলছে না এ দুই প্রকার জ্বালানি। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষদের।
কাঠ ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘এখন পাইকারি এক মণ কাঠের দাম প্রকার ভেদে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে সেই কাঠ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। যা এক মাস আগেও ১৮০ টাকায় পাওয়া গেছে।’
নগরীর রূপসা ফেরিঘাট এলাকার খুচরা গ্যাস বিক্রেতা শোভন বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ায় দোকানে বিক্রি কমেছে। আগে দিনে ১০-১২টা সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করতে পারতাম। এখন দিনে ৫-৬টাও বিক্রি হচ্ছে না। যারা গ্যাস কিনতেন তারা এখন ছুটছেন কাঠের দোকানে। তবে যাদের একেবারে কাঠের ব্যবহার করার উপায় নেই, তারাই কিনছেন গ্যাস।
এ দোকানে গ্যাস নিতে আসা গৃহিণী রওশনারা বেগম বলেন, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, চিনির দাম বেড়েছে, গ্যাসের দামও বেড়েছে। কিন্তু আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের আয় বাড়েনি। মাসে আমাদের ১৮ কেজি সিলিন্ডার গ্যাস প্রয়োজন হয়। এখন প্রতি মাসেই আমার ৬০০ টাকা বাড়তি গুণতে হবে। কিন্তু আয় তো বাড়েনি।
মেসার্স খানজাহান আলী (রহ.) এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মো. ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, ‘দাম বাড়ায় ১ ফেব্রুয়ারি আমরা গ্যাস পাইনি। এখনো অনেক কোম্পানির গ্যাস আমরা পাচ্ছি না। যা পাচ্ছি তা বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’