২৩ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ৫ দিন ব্যাপী মেলা শেষ হয় ২৭ ডিসেম্বর। মেলা উপলক্ষ্যে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় রিহ্যাব এর পক্ষ থেকে। মেলা প্রাঙ্গনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “করোনা মহামারির পরে নাগরিকদের বিনিয়োগে আস্থার অভাব লক্ষনীয় ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার প্রকোপ এখনও চলমান। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপে নাগরিকদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন এবং ব্যাপকমাত্রায় টিকা প্রদানের ফলে আমাদের দেশে করোনার প্রকোপ কমে আসলেও এখনও শংকার সংকেত রয়ে গেছে। এমন অবস্থায় আমার আমাদের রিহ্যাব ফেয়ার সফল ভাবে শেষ হতে চলেছে। কোভিড কাটিয়ে সবাইকে এক করতে পেরেছি। ফেয়ার মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। এই ফেয়ারে মাধ্যমে মানুষের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি আমরা। ক্রেতা- বিক্রেতা, মিডিয়ার এবং সকলের স্বতস্ফুর্ততায় আশা ফিরে পাওয়ার সংকেত পেয়েছি। মেলায় ক্রয়-বিক্রয়ের সংখ্যা তত্ত্ব দিয়ে এই আস্থা ফিরে পাওয়ার সার্বিক চিত্র ভিজুলাইজড করতে পারবো না। এই মেলায় নাগরিকদের যে সাড়া, যে আবেদন আমরা দেখেছি তাতে আমরা আশান্বিত হয়েছি। আমরা দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে পারি আবাসন খাত ঘুঁরে দাঁড়াচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) কামাল মাহমুদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) এবং মেলা কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা, ভাইস প্রেসিডেন্ট (৩) লায়ন শরীফ আলী খানসহ রিহ্যাব পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রিহ্যাব ফেয়ার ২০২১ এ বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রায় ৩৯৭ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে। এর মধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে ১৯৮ কোটি টাকা। প্লট- ১২৫ কোটি এবং বাণিজ্যিক স্পেস ৭৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকার বুকিং এবং বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছে ১৯ হাজার ২৩৭ জন।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন “মেলার আসল উদ্দেশ্য ব্রান্ডিং করা। এখানে যে সকল ক্রেতা দর্শনার্থী এসেছেন তারা সকলেই ফ্ল্যাট বা প্লট ক্রয় করবেন। কেউ হয়তো এখন ক্রয় করবেন আর কেউ হয়তো একটু পরে ক্রয় করবেন। মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় আসা ক্রেতা নিকট তাদের পন্যের মান সম্পর্কে তুলে ধরেছেন। তারা ক্রেতা-দর্শনার্থীতের নার্সিং করবেন আর ক্রেতারা যে দেখে গেলেন তা যাচাই বাছাই করবেন এবং পরবর্তীতে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবেন।”
এ বছর অনেক অংশগ্রহণকারী ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের পণ্য তুলে ধরেছেন। বিদেশ থেকেও প্রবাসীরা তাদের পণ্য সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন।