বিশ্ববাজারে গত এক সপ্তাহে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশেও স্বর্ণের দাম কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। শনিবার (১৬ জুলাই) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে ঈদের আগে দেশের বাজারে এক দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। এরপর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আরও কমেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, এক মাসের বেশি সময় ধরেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী। এতে ১৫ মাসের মধ্যে স্বর্ণের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। স্বর্ণের পাশাপাশি বিশ্ববাজারে রুপা ও প্লাটিনামের দামেও বড় পতন হয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। রুপার দাম কমেছে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া প্লাটিনামের দাম কমেছে ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এক মাস আগে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ৮৫৬ দশমিক ৬১ ডলার। সেখান থেকে কমতে কমতে এখন তা এক হাজার ৭০৬ দশমিক ৭৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক মাসে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ১৪৯ দশমিক ৮৩ ডলার। এর মধ্যে গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে ৩৫ ডলার বা ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
স্বর্ণের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে রুপা ও প্লাটিনামের দাম। সবশেষ সপ্তাহে প্রতি আউন্স রুপার দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৬১ ডলার বা ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স রুপার দাম দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৬৯ ডলারে। এছাড়াও প্লাটিনামের দাম গত সপ্তাহে কমেছে ৪৬ দশমিক ৪৬ ডলার বা ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৫০ দশমিক ৫০ ডলারে।
বিশ্ববাজারে দাম কমার প্রেক্ষিতে সর্বশেষ ঈদুল আজহার তিনদিন আগে ৭ জুলাই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সে সময় সবচেয়ে ভাল মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে ৬৪ হাজার ১৫২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫৯ টাকা কমিয়ে ৫৩ হাজার ৪৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে দেশের বাজারে এই দামেই স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।