বিশ্বে গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখের বেশি মানুষ। এর আগে বিশ্বে কখনই একদিনে করোনা সংক্রমণ ৬ লাখ ছাড়ায়নি। অন্যদিকে একই সময়ে করোনায় মারা গেছেন ৮ হাজার ৭৬৭ জন। এর আগে ১৭ এপ্রিল ৮ হাজার ৫৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল এ ভাইরাসে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৯২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। করোনা কেড়ে নিয়েছে সাড়ে ১২ লাখ প্রাণ। যুক্তরাষ্ট্রে হু-হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার দেশটিতে একদিনে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা এক কোটি ছুঁই ছুঁই। ফ্রান্স ও জার্মানিতে লকডাউন জারির পরও কমছে না আক্রান্তের হার। এ দুটি দেশসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশ্ববাসী বর্তমানে এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখান থেকে করোনাকে হারানো সম্ভব। খবর বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্সসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার ১৭০ জন। মারা গেছেন ১২ লাখ ৪২ হাজার ৬৪২ জন। অবস্থা আশঙ্কাজনক ৯০ হাজার ২৯৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৫১ লাখ ৩ হাজার ৫১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ১১ হাজার ৯৯১ জন, মারা গেছেন ৫ হাজার ৩০৫ জন।
বিশ্ব তালিকায় শীর্ষে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত ৯৯ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮৮ জন, মারা গেছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ১০১ জন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতে মোট রোগী ৮৪ লাখ ৩২ হাজার ৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ১৭৭ জনের। বিশ্বে তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত ৫৬ লাখ ১৪ হাজার ২২৮ জন, মারা গেছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৭০৪ জন। চতুর্থ স্থানে রাশিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৮ জন। দেশটিতে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৮৮৩ জন। পঞ্চম স্থানে থাকা ফ্রান্সে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ১ হাজার ৩৪৫ জন। দেশটিতে মারা গেছেন ৩৯ হাজার ৩৭ জন। ষষ্ঠ স্থানে স্পেনে আক্রান্ত ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৮ হাজার ৪২৮ জনের।
করোনাকে হারানো সম্ভব -বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আমরা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখান থেকে করোনাকে হারানো সম্ভব। বহু দেশ, বহু শহর সেটা করে দেখিয়েছে। এখন সময় পরবর্তী মহামারী মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত হওয়ার। ৭৩তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, বিশ্ববাসীকে এখনই পরবর্তী মহামারীর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। যাতে পরবর্তী মহামারী এলে আমরা আরও ভালোভাবে তার মোকাবেলা করতে পারি।