বিশ্বে প্রথমবারের মতো মানব শরীরে অন্য কোনো প্রাণীর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। বিজ্ঞানের অগ্রগতি। মানুষের জীবনও উন্নত হচ্ছে। ভাবা যায়? মানবদেহে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করে ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছেন নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা। বিশাল বড় এক সাফল্য এসেছে। এমন ইতিবাচক ঘটনা সামনে আসার পরই সাড়া পড়ে গিয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানে। মানুষের শরীরে শূকরের কিডনি সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেছেন চিকিৎসকরা। বিস্ময়করই বটে !
বিশ্বে এই প্রথম প্রাণীর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে মানব শরীরে সেই কিডনি ঠিকঠাকভাবে কাজ করেছে বলে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে। বেশ আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে দুইঘণ্টা ধরে প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। যে ব্যক্তির শরীরে শূকরের কিডনি স্থাপন করা হয় তিনি ছিলেন ব্রেন ডেড অবস্থায়। ব্যক্তির পরিবারের সম্মতিতেই শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। জেনিটিক্যালি মডিফাইড একটি শূকরের কিডনি ব্যবহার করা হয়েছে। কিডনিটি প্রতিস্থাপন করার পর ৫৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের জন্য কিডনি ঐ ব্যক্তির পেটের বাইরের বিশেষ সুরক্ষা শিল্ড দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।
জানা গিয়েছে, গবেষকরা দেখেছেন যে, মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপনের পর যে পরিমাণ মূত্র তৈরি হতো, অন্যদিকে শুকরের কিডনি প্রতিস্থাপনের পরও সেই একই পরিমাণ মূত্র তৈরি হয়েছে। চিকিৎসাশাস্ত্রে এটা অত্যন্ত আশার আলো দেখাচ্ছে।
জানা যায়, অস্ত্রোপচার দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. রবার্ট মন্টগোমারি। একটি বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনাটিকে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য একটি পরিবর্তনকারী মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন। নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রধান ক্লিনিক্যাল কর্মকর্তা চ্যাড ইজেল এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে দুর্দান্ত বৈজ্ঞানিক অর্জন করে অভিহিত করেছেন।