সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালিত

প্রকাশঃ

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় ঘাতক ব্যাধি হৃদরোগ এবং স্ট্রোক। যার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। বিশ্বে প্রতি বছর ১ কোটি ৮০ লাখ লোকের মৃত্যু হয় এ রোগে। যার মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ মৃত্যু হয় নিু ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে। বাংলাদেশে শতকরা প্রায় ৬৭ ভাগ মৃত্যু অসংক্রামক ব্যাধির কারণে হয়ে থাকে। যার মধ্যে ৩০ শতাংশ মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ ও স্ট্রোক। দেশে বর্তমানে ২২ শতাংশ অকাল মৃত্যুর কারণ উচ্চ রক্তচাপ। দেশে বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি ৫ জনে ১ জন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত।

এ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশের শতকরা ৫১ দশমিক ৩ ভাগ লোক জানেই না যে তাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। যারা উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মাত্র শতকরা ১৪ দশমিক ১ ভাগের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার ক্ষেত্রে শতকরা ৭৭ দশমিক ২ ভাগ লোক বেসরকারি ও শতকরা ১৪ দশমিক ১ ভাগ লোক সরকারি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, হাইপারটেনশন (হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ) একটি দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা, যেখানে রক্তচাপ একটি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি থাকে (১৪০/৯০) অধিকাংশ সময় উচ্চ রক্তচাপের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ এবং উপসর্গ থাকে না। দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপে ভোগা অনেক রোগী জানেন না যে তার উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। যখন উচ্চ রক্তচাপ এর চিকিৎসা করা হয় না তখন এটি ধমনি এবং মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। সাধারণত (১২০/৮০) সমান বা কম রক্তচাপকে স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। যদি রক্তচাপ (১৪০/৯০) (ক্লিনিক অথবা ডাক্তারের চেম্বারে মাপার ক্ষেত্রে) এর বেশি কিংবা (১৩৫/৮৫) (বাড়িতে মাপার ক্ষেত্রে) এর অধিক কিংবা (১৩০/৮০) (ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে) এর অধিক হয় তাহলে তা উচ্চ রক্তচাপের পর্যায়ে পড়তে পারে। এমন পরিস্থিতি দেশে পালিত হয়েছে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস। প্রতি বছর ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালিত হয়। তবে এ বছর কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী ১৭ মের পরিবর্তে ১৭ অক্টোবর ‘বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস’ পালিত হল। ‘আপনার রক্তচাপ জানুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং সুস্থ জীবন উপভোগ করুন’- এ প্রতিপাদ্যে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও শনিবার দিবসটি পালন করেছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে ওয়েবিনারের মাধ্যমে গণমুখী সেমিনার আয়োজন করা হয়। ওয়েবিনারটি আয়োজন করা হয়। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আবদুল আউয়াল রিজভীর সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ